নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। একাধিক ভুয়ো শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঠিক এরই মাঝে নিজেদের চাকরি বাঁচাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অবৈধ শিক্ষকদের তালিকায় থাকা ৮৮ জন। বৃহস্পতিবার নিজেদের স্বপক্ষে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা জানান, বৈধ ভাবে এবং নিয়ম মেনেই তাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে।
এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন ৫৪ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৩ জনেরই চাকরি বাতিল করে আদালত। বাকি ১ জন শুনানি চলাকালীন আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় গত ১৩ জুন ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরি বাতিলের পাশাপাশি তাঁদের বেতনও বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু গত ২৬৯ জনের চাকরি বাতিল সহ টেট মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যা যা রায় দিয়েছিলেন, সবগুলির উপর গত ১৮ অক্টোবর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
সেই সময় শীর্ষ আদালত জানায় - প্রথমত হাইকোর্টকে ২৬৯ জনের কী বক্তব্য রয়েছে তা শুনতে হবে। দ্বিতীয়ত, যাদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁদেরই উচ্চ আদালতে হলফনামা জমা দিতে হবে। ২৬৯ জনকেই হলফনামা জমা দিয়ে জানাতে হবে যে, তাঁরা বৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন। সব দেখে শুনে হাইকোর্ট সম্মতি দিলে তবেই বহাল থাকবে চাকরি।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পর অবৈধ শিক্ষকদের তালিকায় থাকা অনেকে চাকরির বৈধতার স্বপক্ষে যুক্তি দিয়ে হাইকোর্টে হলফনামা জমা দেননি। চাকরি বাতিল হওয়া ২৬৯ জনের মধ্যে ১২৬ জন আদালতের দ্বারস্থই হননি। আগে ৫৪ জন এবং আজ ৮৮ জন, অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত মোট ১৪২ জনের হলফনামা জমা পড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন