আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পুরভোট। কলকাতা ও হাওড়া পুরসভা ভোটের পরিচালনা কমিটি ঘোষণা করা হল। এই কমিটির নির্বাচনে গেরুয়া শিবির প্রাধান্য দিল তৃণমূল ত্যাগীদের। তাদের দায়িত্বে গড়া হয়েছে নির্বাচন কমিটি। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি বিজেপি বিধায়কদের হাতে বরোর দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে।
কোন কমিটির দায়িত্বে কোন তৃণমূল ত্যাগী রয়েছেন, একবার দেখে নেওয়া যাক।
প্রাক্তন রেলমন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীকে কলকাতার নির্বাচনী প্রচার কমিটির ইনচার্জ করা হয়েছে। কো-ইনচার্জ হিসেবে আছেনতুষারকান্তি ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, বিজয় ওঝা ও বৈশালী ডালমিয়া। তুষারকান্তি অবশ্য দলবদলু নন। সদস্য হিসেবে আছেন রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলি, স্বপন দাশগুপ্ত, পুরসভার কাউন্সিলর মীনা দেবীর পুরোহিতও। উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার আহ্বায়ক কল্যাণ চৌবে ও অগ্নিমিত্রা পল। হাওড়ায় পুরভোটের ইনচার্জ হয়েছেন তৃণমূলত্যাগী রথীন চক্রবর্তী। কো-ইনচার্জ মনোজ পাণ্ডে ও সুপ্রীতি চ্যাটার্জি। তাঁরা তৃণমূল ও কংগ্রেসে ছিলেন। সদস্য হয়েছেন তৃণমূলত্যাগী বর্ষীয়ান নেতা জটু লাহিড়ি। আহ্বায়ক উমেশ রাই।
একজন করে বিধায়ককে হাওড়ার সাতটি ও কলকাতার ১৬টি বরোর পর্যবেক্ষক করা হয়েছে। কলকাতার দায়িত্বে রয়েছেন অশোক কীর্তনীয়া, অম্বিকা রায়, বঙ্কিম ঘোষ, পার্থসারথী চ্যাটার্জি, অসীম বিশ্বাস, স্বপন মজুমদার, সুব্রত ঠাকুর, তাপসী মণ্ডল, অশোক দিন্দা, অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়, অসীম বিশ্বাস, শান্তনু প্রামাণিক, মুকুটমণি অধিকারী, বিমান ঘোষ, সুশান্ত ঘোষ, শীতল কপাট। হাওড়ার সাতটি বরোয় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অমর শাখা, দিবাকর ঘরামি, সুদীপ মুখার্জি ও অজয় পোদ্দার, নীলাদ্রি শেখর দানা, হরকালী পাতিহার, লক্ষণ ঘড়ুইকে।
সংবাদ মাধ্যমকে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানান, ‘একদম সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। দল সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে প্রস্তুত। এই জন্যই প্রতিটি বরোয় একজন করে বিধায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
কিন্তু তৃণমূলত্যাগীদের গুরুত্ব দেওয়া নিয়ে বিজেপির মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের পর। এবারও দলবদলুদেরই গুরুত্ব দেওয়া হল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন