বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্রাথমিকে ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল আগেই জানিয়েছিলেন তিনি বিচারপতি গাঙ্গুলির ৩৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। সোমবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
সম্প্রতি প্রাথমিকে ৩৬ হাজার অপ্রিশিক্ষিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গাঙ্গুলি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ২০১৬ সালে মোট ৪২ হাজার ৫০০ জনকে প্রাথমিকে নিয়োগ দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই তালিকায় মোট ৬ হাজার ৫০০ জন প্রার্থী ছিলেন প্রশিক্ষিত, আর বাকি ৩৬ হাজার জন শিক্ষক ছিলেন অপ্রশিক্ষিত।
পাশাপাশি তিনি এও বলেন, আগামী চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন এই ৩৬ হাজার অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষক। তাঁরা বেতন পাবেন প্যারা টিচার হিসাবে। আর যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, তাঁরা ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন।
অন্যদিকে, বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশকে সংশোধন করার আবেদন জানান মামলাকারীদের আইনজীবী। মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, সংখ্যাটা ৩৬ হাজার নয় আসলে হবে ৩০ হাজার ১৮৫জন। মামলার সময় ওই সংখ্যাই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টাইপোগ্রাফিক্যাল এরর-র জন্য ৩৬ হাজার হয়েছে। আদালতে প্রায়ই এই ধরণের ভুল হয়। এতে কারুরই দোষ নেই। নির্দেশ সংশোধন করে যাতে চাকরি বাতিলের সংখ্যা ৩০ হাজার ১৮৫ করা হয় তার আবেদন জানানো হয়েছে। এবার সমস্ত কিছু নির্ভর করছে বিচারপতির সিদ্ধান্তের ওপর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন