সোমবারের পর মঙ্গলবারও কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডে শুভেন্দুর দায়ের করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
রাজ্য রাজনীতিতে এখন খবরের শিরোনামে রয়েছে দত্তপুকুরের বিস্ফোরণকাণ্ড। যেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৯ জন। এই নিয়ে আদালতে পৃথক ভাবে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং আর এক বিজেপি নেতা রাজর্ষি লাহিড়ী। দুটি মামলাই মঙ্গলবার খারিজ করলো হাইকোর্ট।
প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মামলাটি বিস্ফোরণ আইনে করার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী। এফআইআর-র বিস্ফোরণ আইনের ধারা দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ করেছেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে। কেন্দ্রের তরফ থেকে দত্তপুকুরে এনআইএ-র একটি প্রতিনিধি দলও গেছে। তাই মামলাটি অপরিণত। সেই কারণেই মামলাটি খারিজ করা হলো।
রবিবার সকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুর থানা এলাকার মোচপোল গ্রাম। ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন বহু। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতোটাই ছিল যে বাড়িটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশেপাশের একাধিক বাড়ি।
প্রসঙ্গত, সোমবারই যাদবপুরকাণ্ডে দায়ের করা একটি মামলায় প্রধান বিচারপতির ভর্ৎসনার মুখে পড়েন শুভেন্দু। যাদবপুরে পড়ুয়া মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম বলেন, "সংবাদপত্র পড়েই কি এই মামলা দায়ের করা হয়েছে? অনেক ঘটনায় আজকাল দেখছি সংবাদপত্র পড়ে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। ঠিক তার পরেই দ্রুত শুনানিরও আবেদন জানানো হচ্ছে মামলাকারীর পক্ষ থেকে। এই ধরণের ঘটনা কেন ঘটবে? অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে নিন, নয়তো মামলা খারিজ করে দেব।" এরপরেই মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন