পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই তৎপর হয়েছে সিবিআই। এবার বরাহনগর, কামারহাটি সহ উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক পুরসভার কর্মী ও আধিকারিকদের তলব করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সকলকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের পাশাপাশি পুর নিয়োগ দুর্নীতিতেও আদালতে বিচারপতিদের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই। ফলে তদন্তের গতি বাড়াতে পুর কর্মীদের তলব করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, পানিহাটি পুরসভা, বরাহনগর পুরসভা, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, কামারহাটি সহ একাধিক পুরসভার কর্মীদের তলব করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বরাহনগর পুরসভারই ৩২ জন ডেকে পাঠানো হয়েছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, আগে উদ্ধার হওয়া পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথির ভিত্তিতেই সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাঁদের নিয়োগ কীভাবে হয়েছে? পরীক্ষা কারা নিয়েছেন? ইন্টারভিঊ বোর্ডের সদস্য কারা ছিলেন সমস্ত কিছু জানতে চায় সিবিআই। সকলের বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে। সমস্ত বয়ান খতিয়ে দেখতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। কারণ ২০১৪ সালের পরই ওই কর্মী ও আধিকারিকদের নিয়োগ হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুকে তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু কোনো নোটিশ পাননি দাবি করে হাজিরা দেননি তিনি। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার নথি খতিয়ে দেখে সুজিত বসুকে তলব করা হয়েছিল। কারণ তৎকালীন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন সুজিত বসু।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে অয়ন শীলের একাধিক সংস্থার কথা জানতে পেরেছিল ইডি। বেআইনিভাবে টাকার বিনিময়ে রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় প্রায় ৫ হাজার কর্মী নিয়োগ করেছিলেন অয়ন শীল। যার মধ্যে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই।
অয়ন শীলের সংস্থা সূত্রে ইডি জানতে পেরেছিল, পুরসভার সাফাই কর্মী, গাড়ির চালক পদের জন্য নেওয়া হতো ৪ লক্ষ টাকা। গ্রুপ সি, টাইপিস্টের জন্য পরীক্ষার্থী পিছু নিতেন ৭ লক্ষ টাকা। এই সবগুলি হল ন্যূনতম মূল্য। প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে রেট বাড়ানো হতো। ইডির দাবি, ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ এই চাকরি বিক্রির কারবার শুরু করেছিলেন অয়ন শীল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন