৪৪ দিনের মাথায় অনশন 'স্থগিত' রাখলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। তবে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে নিজেদের আন্দোলনে এখনও অনড় তাঁরা।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, "আমরা অনশন তুলছি মানে আপাতত স্থগিত করছি। অনশনের বদলে এবার আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে প্রবেশ করব। যদিও এই আন্দোলন আমাদের বৃহত্তর আকারেই চলছে। অনশন একটা তীব্রমাত্রার আন্দোলন। কিন্তু আমরা যেটা অনুভব করলাম, পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে যে সরকারটা আছে সেটা ব্রিটিশ সরকারের থেকেও নির্দয়, নির্মম এবং স্বৈরাচারী। যার বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে।"
"আমরা আন্দোলনের অভিমুখটা ঘোরাতে চাইছি। এতদিন এটা কেন্দ্রীভূত ছিল, কিন্তু এখন রাজ্যের বিভিন্ন কোণে আমরা আন্দোলনটাকে ছড়িয়ে দিতে চাই। প্রয়োজনে আমি আবার অনশনে বসবো। আগামী ২৯ মার্চ এখানে গণ অনশন হবে। সেদিন বার্গার-প্যাটিস খেয়ে অনশন করা হবে। যাঁরা যাঁরা অনশনে অংশগ্রহণ করবেন তাঁদের জন্য বিভিন্ন পদের ব্যবস্থা করা হবে। এতদিন অনশন করছিলাম শুধুমাত্র জল খেয়ে। আগামী ২৯ মার্চ অনশনে ডার্ক চকলেটও থাকবে", বলেন ভাস্কর।
উল্লেখ্য, বকেয়া D.A.-র দাবিতে আগামী ২৬ মার্চ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে মেল পাঠাবেন সরকারি কর্মীরা। একই দাবিতে, ২৭ মার্চ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও মেল পাঠাবেন তাঁরা।
এরপর, ৩০ মার্চ, গণ-ছুটিতে যাবেন ‘বঞ্চিত’ সরকারি কর্মীরা। এছাড়া, ১০ ও ১১ এপ্রিল, দিল্লির যন্তর মন্তরে দুই দিনের অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে ৬২ টি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সম্মিলিত সংগঠন - সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।
জানা যাচ্ছে, এই অবস্থান বিক্ষোভের মাঝে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের সঙ্গে দেখা করবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধিরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন