আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকরাও যাতে বিজেপিকে ভোট না দেয়, সেজন্য একটি রাজ্যের কৃষকদের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্ব।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নির্বাচিত করে নিয়ে আসায় কোনও লাভ হয়নি কৃষকদের। তিন বিতর্কিত কৃষি আইন নিয়ে এসে কৃষকদের স্বার্থে বড়সড় আঘাত হানা হয়েছে। এই নতুন তিন কৃষি আইন আদতে কৃষক-বিরোধী আইন। এই আইনের প্রতিবাদে কৃষক আন্দোলন ১০০ দিন পার করে দিলেও তাতে কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই সরকারের। কলকাতা প্রেস ক্লাবে খোলা চিঠি প্রকাশের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বলবীর সিং রাজেওয়াল, হান্নান মোল্লা, সতনাম সিং আজনালা, যোগেন্দ্র যাদব, অতুল কুমার অঞ্জন, সুনিলাম, রাজারাম সিং এবং সমাজকর্মী মেধা পাটেকর-সহ প্রমুখরা। গান্ধি মূর্তির পাদদেশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কিষাণ দূতদের কাছে এই চিঠি বিলি করা হয়। এই চিঠিগুলো রাজ্যের ২৯৪টি আসনের অধীনে থাকা কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে খবর।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অল ইন্ডিয়া কিষান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা জানান, কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করে কৃষকদের আন্দোলন ১০০ দিন পার করেছে রাজধানীতে। এর ফলে দেশের কৃষকদের এক নতুন পরিচিতি তৈরি হয়েছে। মহামারীকালে উৎপাদনের হার কম হওয়ায় দেশের অর্থনীতি সংকটে পড়ে গিয়েছিল। তখন কৃষকরা নিজেদের উৎপাদন বজায় রেখেছিল। তিনি আরও বলেন, 'স্বাধীনতার পর নরেন্দ্র মোদি সরকারই সবথেকে বড় বিশ্বাসঘাতক সরকার।'
এরপর রামলীলা পার্কে অল ইন্ডিয়া কিষান সংঘর্ষ কোঅর্ডিনেশন কমিটির রাজ্য শাখার তরফে আয়োজিত মহাপঞ্চায়েতের আহ্বায়ক অম্লান হালদার জানান, রাজ্যের কৃষকরা সবথেকে বেশি বঞ্চিত অবস্থায় রয়েছেন। না তারা ধানের সঠিক দাম পাচ্ছেন, না পাট বা আলুর সঠিক দাম পাচ্ছেন। রাজ্যে গত কয়েক বছরে ফসলের দাম না পেয়ে মোট ২২৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন