ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাক বামফ্রন্টের

বামফ্রন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র বিরোধী প্রশাসনিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদ আন্দোলনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
নওশাদ সিদ্দিকির পাশে বামফ্রন্ট
নওশাদ সিদ্দিকির পাশে বামফ্রন্টগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

সংযুক্ত মোর্চার বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে পথে নামছে বামফ্রন্ট। সোমবার বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি ফুরফুরা শরিফের পিরজাদাদের একাংশও আন্দোলনে নামছেন। তারা কলকাতার রাজপথ স্তব্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বামফ্রন্টের বিবৃতিতে বলা হয়েছে - বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি সহ গ্রেপ্তার হওয়া আইএসএফ কর্মী, সমর্থকদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির সঙ্গে পুলিশের অভব্য ব্যবহারের নিন্দা জানানো হচ্ছে। গণতন্ত্র বিরোধী প্রশাসনিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রাজ্যের সর্বত্র প্রতিবাদ আন্দোলনের আহ্বান করা হচ্ছে।

অন্যদিকে আইএসএফ-ও রাজ্যজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। সকল কর্মীদের একত্রিত করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে চলেছেন তাঁরা। আইএসএফ-র তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, কেন শুধু আইএসএফ কর্মীদের গ্রেফতার করা হবে? যারা ঘটনা ঘটালো তাদের পুলিশ ছেড়ে দিচ্ছে। বিধায়ককে গ্রেফতারের জন্য স্পিকারের অনুমতি নেওয়া হল না কেন?

নওশাদ সিদ্দিকির গ্রেফতারিতে ক্ষোভে ফুঁসছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদাদের একাংশও। পিরজাদা কাশেম সিদ্দিকি বলেন, আমরা ধর্মনিরপেক্ষভাবে কলকাতায় একত্রিত হয়ে শহরের রাজপথ অচল করে দেব। মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ আরও একটি বৈঠক আছে। তারপরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।

বামফ্রন্টের বিবৃতি
বামফ্রন্টের বিবৃতি

উল্লেখ্য, ২১ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (ISF) প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ধর্মতলায় কর্মসূচি ছিল। সেই উদ্দেশ্যেই ভাঙর থেকে আইএসএফ কর্মীরা ধর্মতলায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ভেঙে দেওয়া হয় ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির গাড়ির কাঁচ। বহু কর্মীও আহত হন। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, হাতিশালা এলাকার তিনটি পার্টি অফিসে ভেঙে দেয় আইএসএফ কর্মীরা।

এই ঘটনার পরে ধর্মতলায় গিয়ে ভাঙরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারির প্রতিবাদে ধর্মতলা অবরুদ্ধ করে দেয় আইএসএফ কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, আরাবুলের নেতৃত্বে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সকলেই আইএসএফ-র কর্মী ও সমর্থক বলেই জানা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে একজন নাবালকও আছে। ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নওশাদ সিদ্দিকি সহ বাকিদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত।

নওশাদ সিদ্দিকির পাশে বামফ্রন্ট
'কোনো ক্ষমতা নেই' - নানুরে দলীয় বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে অস্বস্তিতে তৃণমূল
নওশাদ সিদ্দিকির পাশে বামফ্রন্ট
নেতা-মন্ত্রীদের পাড়ায় ঢোকা নিষেধ - 'দিদির দূত'-দের উদ্দশ্যে দেওয়াল লিখে প্রতিবাদ গ্রামবাসীদের

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in