আদালতের নির্দেশে ২০১৬ সালে অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৯০৭ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ করলো স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। তবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো তাঁদের নম্বর প্রকাশ করেনি কমিশন।
হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি নির্দেশ দিয়েছিলেন ২০১৬ সালে চাকরি প্রাপ্ত একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সকল শিক্ষকের নাম ও ওএমআর শিট প্রকাশ করার। সেই নির্দেশে আংশিক স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিমকোর্ট। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালত বলে, ওএমআর শিট প্রকাশ করা যাবে না। শুধু নাম ও রোল নম্বর দিয়ে শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করা যেতে পারে। ওএমআর শিটগুলি প্রথমে সুপ্রিমকোর্টে পেশ করতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরই ৯০৭ জনের নাম ও রোল নম্বর দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। এক মিডিয়ায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ওই তালিকার ৩০০ নম্বরে রয়েছে কবিতা বর্মনের নাম। যিনি আবার উত্তর দিনাজপুর তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি ছিলেন। ইনি জেলার একটি স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা। ওই মিডিয়ার দাবি, ৫৫ নম্বরের মধ্যে কবিতা পেয়েছেন ৫৩। যদিও তাঁর দাবি, তিনি স্বচ্ছভাবেই পরীক্ষা দিয়েছেন। ওই তালিকার তাঁর নাম এলো কীভাবে তা আদালতই জানে।
অভিযোগ, এই তালিকায় থাকা শিক্ষকদের প্রাপ্ত নম্বর ও সার্ভারের নম্বরের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। কেউ কেউ সাদা খাতা জমা দিয়ে ৫০ পেয়েছেন। আবার প্রাপ্ত নম্বর থেকে ২০-৩০ নম্বর পর্যন্তও বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৭ জুলাই বিচারপতি গাঙ্গুলি কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, চাকরিপ্রাপ্ত ৫,৫০০ জন ছাড়াও ওয়েটিং লিস্টে থাকা সকলের নাম, রোল নম্বর ও ওএমআর শিট প্রকাশ করতে হবে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীরা। শীর্ষ আদালতে কার্যত ধাক্কা খেলেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন