Third wave: করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই স্বাস্থ্যকর্মীদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেবে পুরসভা

কলকাতা পৌরসভার মোট ১৬ টি বোরোর মধ্যে দুটি বোরো নিয়ে একটি করে হাব তৈরি করা হবে। একটি বোরো থেকে দুজন করে সুপারভাইজার স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

দেখা গিয়েছে করোনা সংক্রমণ থেকে সেরে উঠলেও ফেরাবার আক্রান্ত হয়েছেন শহরবাসী। তাই এবার করোনা নিয়ে আরও সচেতন করতে আশা কর্মীদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। এই আশা কর্মীদের করোনা আবহে ভার্চুয়ালি ট্রেনিং দেওয়া হবে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, মূলত এই আশা কর্মীরা সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। যারা সেরে উঠেছেন করোনা থেকে তারা আবার সংক্রমিত হয়ে পড়েছেন কিনা, সংক্রমিত হলেও সে ক্ষেত্রে কিভাবে সংক্রমিত হয়েছেন সেই সমস্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন এই আশা কর্মীরা।

এছাড়াও কেউ করোনার সন্দেহভাজন হলে সে ক্ষেত্রে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে সেই বিষয়েও দিশা দেবেন তারা। জানা গিয়েছে, কলকাতা পৌরসভার মোট ১৬ টি বোরোর মধ্যে দুটি বোরো নিয়ে একটি করে হাব তৈরি করা হবে। একটি বোরো থেকে দুজন করে সুপারভাইজার স্বাস্থ্যকর্মীদের ট্রেনিং দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই স্বাস্থ্যকর্মীরাই বাকি স্বাস্থ্য কর্মী এবং আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেবেন।

এক্ষেত্রে ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকেন্দ্র টিকে মূল হাব বা সেন্টার হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকেই সরাসরি বাকি আটটি কেন্দ্রে অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে। মাসে দুদিন করে ট্রেনিং দেওয়া হবে আশা কর্মীদের। এই ট্রেনিং এর দশটি করে মডিউলের বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আগামী পাঁচ ছয় মাসের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে এই গোটা বিষয়টি সম্পন্ন করার। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয় আরো বাকি চার রাজ্যে এই উদ্যোগ নিচ্ছে দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থা। এই সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কলকাতা পুরসভা এই উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রথমে আপাতভাবে কলকাতায় শুরু হলেও এরপর ধীরে ধীরে সিমলা, গ্যাংটক, চেন্নাইয়ে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, "করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাই এই পরিস্থিতিতে আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া অত্যন্ত জরুরী। তৃতীয় ঢেউ আসার আগে আমরা যতটা সম্ভব ভ্যাকসিন দিয়ে দেবার চেষ্টা করছি। যেহেতু ভ্যাকসিন এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় তাই যখন যে পরিমাণ ভ্যাকসিন আসছে তা আমরা দেওয়ার চেষ্টা করছি"।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in