নিয়োগ দুর্নীতির সাথে যুক্ত স্বয়ং পুলিশ কর্তা! এই অভিযোগেই সোমবার কলকাতা পুলিশের অষ্টম ব্যাটেলিয়নের এসিপি (অ্যাসিট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ) সোমনাথ ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট। পাশাপাশি এই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে একের পর এক তথ্য সামনে আনছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশনের একাধিক কর্তাও জেলে রয়েছেন। ধরা পড়েছেন মিডলম্যানেরাও। জেল বন্দী তৃণমূলের একাধিক নেতাও। এরই মধ্যে আরও এক দুর্নীতির খবর সামনে এলো। চাকরির নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা পুলিশের অষ্টম ব্যাটেলিয়ানের এসিপি সোমনাথ ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে। আবার পানশালার লাইসেন্স দেওয়ার নামেও তিনি টাকা তুলতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
২০২১ সালে বরানগর থানায় ওই পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। কলকাতার একজন ও হুগলির উত্তরপাড়ার একজনের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি ৬৬ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন। উত্তরপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় বসুর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীকে আবাসন দপ্তরে চাকরি পাইয়ে দেওয়া এবং পানশালার লাইসেন্স দেওয়ার নামে ৩০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন সোমনাথ ভট্টাচার্য।
অন্যদিকে, কলকাতার বাসিন্দা শৌর্য সাহার অভিযোগ, তাঁর বোনকে কলকাতা পুরসভার গ্রুপ সি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন এই পুলিশ আধিকারিক। গতকাল সোমনাথ ভট্টাচার্যকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের আধিকারিকরা। জেরায় অসংগতি মেলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন