৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে এখনও চলছে চাকরিপ্রার্থীদের 'আমরণ অনশন' বিক্ষোভ। আর এরই মাঝে বিক্ষোভ আন্দোলনের বিরোধিতা করে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলো প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। অবিলম্বে আন্দোলন প্রত্যাহারের দাবিতে আদালতে মামলা দায়েরের আর্জি জানায় পর্ষদ। মামলার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
তবে সূত্রের খবর, মামলা দায়েরের পাশাপাশি আদালতে দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছে পর্ষদ। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করেছে বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এত দ্রুত শুনানির কি প্রয়োজন আছে? এতদিন যখন আন্দোলন চলছে, আর একদিন চললে কী এমন সমস্যা হবে?
আদালতে পর্ষদপক্ষের আইনজীবী জানান, চাকরিপ্রার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে পর্ষদের কোনও কর্মী দফতরে ঢুকতে পারছেন না। যার ফলে সরকারি কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে। তাই আন্দোলন প্রত্যাহারের সাথে পর্ষদ কর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যও আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী।
অন্যদিকে, গত মঙ্গলবার ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক উস্কানি বলে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তাঁর কথায়, প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণদের দাবি আইনানুগ নয়। এই বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বহুস্তরীয় বা একস্তরীয় কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি বা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, তাঁরা কিন্তু যেনতেন প্রকারেণ এই ধরণের আন্দোলনকে অনুপ্রানিত করেছে। আগামীদিনে বোর্ড যে নিয়োগ করতে যাচ্ছে, যেনতেন প্রকারেণ সেটাকে বাধা দিয়ে এই আন্দোলনকে জিইয়ে রাখার প্রচেষ্টা করছেন।’
তবে, টেট উর্ত্তীর্ণদের দু’বার ইন্টারভিউ এবং এমপ্লানেড (মেধাতালিকাভুক্ত) নিয়ে পর্ষদ সভাপতি যে মন্তব্য করেছেন, তা উড়িয়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এক চাকরিপ্রার্থী জানান, আমাদের প্যানেলটা কোথায়? পর্ষদ সভাপতি আমাদের সেই প্যানেলটা দেখিয়ে দিন, আমরা আর এখানে এসে চাকরির দাবি করব না। অন্য চাকরিপ্রার্থীদের প্রশ্ন, কিভাবে উনি স্বচ্ছ নিয়োগ করবেন? যেখানে অপসারিত পর্ষদ সভাপতি কোর্টে গিয়ে স্বীকার করেছেন, আমাদের OMR শিট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি (গৌতম) কোন নীতিতে আমাদের মেধাতালিকা প্রকাশ করবেন?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন