দীর্ঘদিন ফেরার থাকার পর তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রকাশ্যে এসেছিলেন বিমল গুরুং। এবার বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে থাকা সমস্ত মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিলো রাজ্য সরকার। সূত্র অনুসারে, শনিবারই নবান্ন থেকে এই বিষয়ে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত বছরের ২১ অক্টোবর দীর্ঘ অজ্ঞাতবাসের পর প্রকাশ্যে এসে বিমল গুরুং জানিয়েছিলেন - বিজেপি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। তাই এনডিএ-র সঙ্গে আর নয়। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকেই সমর্থন করবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
সেপ্টেম্বর ২০১৭-র পর থেকে তাঁকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি ছিলো। সেই বিমল গুরুং-কেই ওইদিন কলকাতায় প্রকাশ্যে দেখা যায়। যিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন – তিনি কোনো অপরাধী বা দেশদ্রোহী নন। তিনি একজন রাজনৈতিক কর্মী।
গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের নেতা, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রধান বিমল গুরুং ২০১৭-র সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মী নিহত হবার পর লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। মাঝে দু’একবার বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গেলেও প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যায়নি।
যদিও সেদিন সল্টলেকের গোর্খা ভবনে বিমল গুরুংকে ঢুকতে পারেননি। সেখানেই তিনি এক সাংবাদিক সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছিলেন। প্রায় আধ ঘণ্টা গাড়িতে অপেক্ষা করার পর তিনি ফিরে যান। সেই সময় ওই অঞ্চলে স্থানীয় পুলিশ থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ৭০টির বেশি ফৌজদারি মামলা আছে। যদিও জানা গেছে এমনি মামলা প্রত্যাহার করা হলেও বিমল গুরুং-এর বিরুদ্ধে খুন ও রাষ্ট্রদোহিতার মামলা প্রত্যাহার করছে না রাজ্য সরকার। আইনজ্ঞদের মতে মামলা প্রত্যাহার করতে গেলে সরকারি আইনজীবীকে আদালতে আবেদন জানাতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন