গণপরিবহণে ভিড় এড়াতে অনেকেই অ্যাপ ক্যাবের দ্বারস্থ হন। সকাল, সন্ধ্যা বা রাতে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অনেক সময় এক ক্যাব সংস্থাগুলি সারচার্জের পরিবর্তন করে ভাড়া কমবেশি করে থাকে। সেই ভাড়া নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেক অভিযোগ উঠেছিল। এবার সে ভাড়ায় লাগাম টানার জন্য নতুন আইন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আইন পাশ হওয়ার পর রাজ্যের অনুমতি ছাড়া কেউ ভাড়া বাড়াতে পারবে না। সম্প্রতি পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এমনটাই জানিয়েছেন। পাশাপাশি অফিস টাইমে গণপরিবহণ নিয়ে আমজনতার জন্য শহরের রাস্তায় আরও বেশি সংখ্যায় বাস নামানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
অভিযোগ, কোনও কোনও অ্যাপ ক্যাব সংস্থা ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বেস ভাড়া বাড়িয়েছে। কেউ কেউ সংস্থার বিভিন্ন সারচার্জের নামে ঘুরপথে ভাড়া বাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। এদিকে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে যথেচ্ছ হারে ভাড়া বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, এখন আর গাড়িতে এসির পরিষেবা মেলে না। করোনা বিধি মানতে এসি বন্ধ রাখা হয়েছে, বলা হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে বাড়তি ভাড়া দিলেও এসি চালু না করার অভিযোগ তুলেছেন যাত্রীরা। সাধারণ মানুষ অনেক সময়ই রাতে আপ ক্যাবে যাতায়াত করতে পারেন না। কারণ রাতের ভাড়া আকাশছোঁয়া। যে দূরত্ব দিনের বেলায় যেতে লাগে ৩০০-৪০০, সেখানে বেশি রাতে গুনতে হয় ১০০০- ১১০০ টাকা!
শুধু তাই নয়, চালক সংগঠনগুলোর অভিযোগ, বেসরকারি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলো চালকদের কমিশনও কমিয়ে দিয়েছে। নতুন আইন আনলে সমস্যার অবসান ঘটবে বলে আশা করছেন সাধারণ মানুষ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন