রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কলকাতায় সংহতির মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। জেলা এবং ব্লক স্তরেও এই মিছিল করার কথা বলেছেন তিনি। এই মিছিলে ধর্মগুরুদের সামিল করার নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। বৃহস্পতিবার একটি লিখিত নির্দেশ পেশ করেন সুব্রত বক্সি। সেই নির্দেশে জেলা এবং ব্লকের মিছিলগুলিতে ধর্মগুরুদের শামিল করতে বলা হয়েছে।
রাজ্য সভাপতির পেশ করা ওই লিখিত নির্দেশে বলা হয়েছে, “মিছিলে সব ধর্মের মানুষের যোগদান বাঞ্ছনীয় এবং মিছিলের সামনের সারিতে ধর্মগুরুদের রাখতে হবে। যেখানে মিছিল শেষ হবে সেখানেই একটি মঞ্চ থেকে সমন্বয়ের উপর ধর্মগুরুদের বক্তৃতার আয়োজন করতে হবে।” লিখিতবার্তাটি পাঠানো হয়েছে দলের জেলা সংগঠনের সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের কাছে। তাঁদেরকে সেই বার্তা ব্লকে ব্লকে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সংহতি মিছিল পিছানোর আবেদন জানিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম শুভেন্দুর আবেদন খারিজ করে দেন। মিছিল করার জন্য শর্তাসাপেক্ষ অনুমতি প্রদান করেন।
আগামী ২২ জানুয়ারী মুখ্যমন্ত্রীর সংহতি মিছিল কালীঘাট মন্দির পরিদর্শন করার পর হাজরা মোড় থেকে শুরু হবে। এবং পার্ক সার্কাসে শেষ হবে। মিছিল শেষে পার্ক সার্কাসে সভা করার কথাও আছে মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত জেলায় এই মিছিল করার নির্দেশ দিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
তৃণমূলের বক্তব্য, রামমন্দির উদ্বোধনের দিন বিজেপি বিভাজনের উদ্দেশে রাস্তায় নামতে চেষ্টা করবে। তৃণমূল পাল্টা মিছিল করবে সংহতির বার্তা নিয়ে। এদিন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী নির্দেশে লিখেছেন, "সংহতি মিছিলের ব্যানার, ফেস্টুন, ব্ল্যাকড্রব ইত্যাদির জন্য ডিজাইন আপনাদের কাছে আলাদা ভাবে পাঠানো হচ্ছে।" এই কর্মসূচিতে দলকে একসুরে বাঁধতে চেয়েছেন বক্সী। যাতে মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির সঙ্গে জেলাভিত্তিক কর্মসূচির সামঞ্জস্য বজায় থাকে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন