বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে চাকরিচ্যুত গ্রুপ ডি ও চাকরি বরখাস্তের নির্দেশ প্রাপ্ত নবম-দশমের শিক্ষকরা। সোমবার মামলাটির শুনানি শুরু হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্য ও বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে দুটি মামলার শুনানি চলছে। চাকরি যাওয়া গ্রুপ ডি কর্মীদের হয়ে আদালতে লড়ছেন আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী, অরুণাভ ঘোষ ও পার্থ দেববর্মণ। পাশাপাশি ওই দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেই দ্বারস্থ হয়েছেন নবম-দশমের ৮০৫ জন শিক্ষক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকদের তালিকায় মোট ৯৫২ জনের নাম ছিল। কিন্তু, সেই তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের প্রাপ্ত নম্বরে 'গলদ' ধরা পরে। জানা যায়, সার্ভার এবং ওএমআর শিটে প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। যা দেখে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, 'এঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে কমিশন?'
এরপরেই কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, 'নির্দিষ্ট আইন মেনে পর্যায়ক্রমে ২০১৬-এর নবম-দশমের নিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকা থেকে 'অযোগ্য' ৮০০-এরও বেশি শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
অন্যদিকে গত বৃহস্পতিবার বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি চলাকালীন এসএসসির আইনজীবী স্বীকার করেন, OMR সিটে কারচুপি করে অনেকে নিয়োগ পেয়েছেন। সিবিআই তদন্তে জানা গেছে এই সংখ্যা ২৮২০। কমিশন পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
শুক্রবারই ১৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কমিশনের দাবি, ২৮২০ জনের মধ্যে ১৯১১ জন নিয়োগ পত্র পেয়েছিলেন। তাই এদের চাকরি বাতিল করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন