রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর থাকার জন্য পার্কসার্কাসে কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাসভবন সাজাচ্ছে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল থেকে শুরু করে আমলাদেরই একাংশ।
৩১ ডিসেম্বর মুখ্যসচিব পদে মেয়াদ শেষ (এক্সটেনসনের পর) হয় হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। তারপর রাজ্য সরকার তাঁকে রাজ্যের আর্থিক উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব হয়েছেন ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। প্রাক্তন মুখ্যসচিবের থাকার জন্য পার্কসার্কাসের আমির আলি অ্যাভিনিউতে একটি বাড়িকে নতুন করে সাজাচ্ছে সরকার। রাজ্যের অর্থ দপ্তরকে সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ৭ হাজার স্কোয়ারফুটের সরকারি বাসভবন দেওয়া হচ্ছে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, রাজ্যের সেচ ও জল পরিবহণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিমন্ত্রী আখরুজ্জামান এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে ওই বাসভবন ছেড়ে অন্যত্র যেতে হয়েছে। প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ করে সংস্কারের কাজ চলছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবের একটি নয়, দুটি ব্যক্তিগত বাড়ি রয়েছে নিউটাউনে। বাড়ি থাকা সত্ত্বেও বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করে নতুন বাসভবন দেওয়ার কী প্রয়োজন? রাজারহাটে হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর একটি বাঙলো আছে। নিউটাউনের ইউনিওয়ার্ল্ড সিটি গার্ডেনে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আমলা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজের বেতন নেন না। সেখানে প্রাক্তন মুখ্যসচিবের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাসভবন সংস্কারর করার অর্থ বুঝলাম না।
ওই বাসভবনে থাকা এক মন্ত্রী জানান, দু'সপ্তাহ আগে ফোন করে আমাদের উঠে যেতে বলা হয়। এখানে রবীন্দ্রনাথ ঘোষেরও ঘর ছিল। তাঁকেও অন্যত্র যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কোনো কারণ জানানো হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন