কোচবিহার শীতলখুচির ভেটাবাড়ির বুথে যে ঘটনা ঘটেছে তা ঘটলো কী করে? কোন তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন বলছে ওখানে মানুষ অস্ত্র কেড়ে নেবার জন্য তৈরি হচ্ছিলো? ওখানে সিসিটিভি নাই থাকতে পারে। কিন্তু কোনো একজনও ছবি তোলেনি? তাহলে কীসের ভিত্তিতে কমিশন একথা বলতে পারে? আমরা এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। সোমবার সকালে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদকের একথা জানান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু।
এদিনের মোর্চার প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের জানানো হয় - রাজ্যের ইতিহাসে কখনও আট দফায় নির্বাচন হয়নি। নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচনের দিন অন্য জায়গায় নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। এই বিষয়ে অবশ্যই বিধি ব্যবস্থা করার প্রয়োজন। এটা অবশ্যই বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।
বিমান বসু আরও বলেন - যেভাবে শীতলখুচির ঘটনা নিয়ে প্ররোচনামূলক প্রচার হচ্ছে, আরও অনেক শীতলখুচি হবে বলা হচ্ছে, যারা এই প্রচার করছেন তারা কীভাবে পার পেয়ে যাচ্ছেন? দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কীভাবে তিনি বলতে পারেন আরও অনেক শীতলখুচি হবে। এতে তো নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান বলেন - নির্বাচন কমিশনের কাজকর্ম দেখে মানুষ কমিশনের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলছে। যা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। যেভাবে ভোটের দিন প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য যেভাবে সম্প্রচারিত হচ্ছে তাতে পুরো বিষয়টাই উপহাসের পর্যায় পৌঁছে যাচ্ছে। কমিশন যদি তার বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে না পারে তা গণতন্ত্রের পক্ষে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে।
এদিন সংযুক্ত মোর্চার প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিমান বসু, আবদুল মান্নান, রবীন দেব, মনোজ ভট্টাচার্য, প্রদীপ ভট্টাচার্য, অশোক ঘোষ, নওশাদ সিদ্দিকি প্রমুখ সংযুক্ত মোর্চা নেতৃবৃন্দ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন