বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকলো কলকাতা পুরসভা। অধিবেশন চলাকালীন হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি ও তৃণমূলের কাউন্সিলররা। সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে।
কুস্তির মঞ্চ নাকি কলকাতা পুরসভা বোঝা মুশকিল। শনিবার কলকাতা পুরসভায় অধিবেশন চলাকালীন চেয়ারপার্সন মালা রায় বলেন, 'বিরোধীদের প্রশ্ন কোথায়?' মেয়র ফিরহাদ হাকিম মন্তব্য করেন, 'এখন বিরোধীরা প্রশ্নই করেন না'। তারপরই বক্তব্য রাখেন বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষ। তাঁর পাশে দেখা যায় তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসুকে। দুজনেই কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। তারপরই সজলকে ধাক্কা মারেন ওই তৃণমূল কাউন্সিলর। এরপরই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন শাসকদল ও বিরোধীদের একাধিক কাউন্সিলর। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সজল ঘোষ বলেন, 'পুরসভায় বিতর্ক চলছিল। বিতর্কে অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু ওই সময় আমার ওপর তৃণমূলের কাউন্সিলররা চড়াও হয়। চেয়ারপার্সন এবং মেয়রের সামনেই আমাকে মারা হয়েছে, আমার সঙ্গী বিজয় ওঝাকেও মারা হয়। এমনকি মীনাদেবী পুরোহিত, আরেক বিজেপি কাউন্সিলর, তাঁকেও ধাক্কা দেওয়া হয়েছে'।
তিনি আরও বলেন, 'এইভাবে চলতে পারে না। আগেও আমাদের ওপর আক্রমণ করেছেন শাসক দলের কাউন্সিলররা। সকল বিরোধী দলের কাউন্সিলরদের নিরাপত্তা প্রয়োজন'।
এক তৃণমূল কাউন্সিলরকে ভিডিও ফুটেছে মারামারিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেলেও তিনি সেই কথা অস্বীকার করেছেন। যদিও পরে তিনি বলেন, সজল আমাদের চোর বলছিল। চোর শুনেও কি বসে থাকবো?
চেয়ারপার্সন মালা রায় এই প্রসঙ্গে জানান, 'লোকসভায় হচ্ছে, বিধানসভায় হচ্ছে তাই কলকাতা পুরসভাতেও হয়েছে। মহামারী হলে সব জায়গাতেই হবে। সজল ঘোষ এবং তৃণমূল কাউন্সিলর অসীম বসুকে শোকজ করা হয়েছে'।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'আমাদের আত্মসম্মান নেই? আমাদের সামাজিক সম্মান নেই? হাতাহাতিটা কাম্য নয়। আমাদের ওপর লাফিয়ে পড়েছে বলেই আমরাও লাফিয়ে পড়েছি। ওরা বিরোধীদের কাজ করতে না পেরে মিডিয়ার দৃষ্টিআকর্ষণ করছে। একটা দমবন্ধ পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। সামাজিক সম্মান নষ্ট হলে মানুষ ঠান্ডা মাথায় থাকতে পারে না'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন