আরজি কর কাণ্ডকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল এবং বিজেপি। এই দুই দল 'তিলোত্তমা'র বিচারের বদলের নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াইয়ে মেতে উঠেছে। এমনটাই অভিযোগ করছে বাম-কংগ্রেস।
আর জি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে সমাজের সকল স্তরের মানুষ পথে নেমেছেন। বিচারের দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি চলাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সিপিআইএম, কংগ্রেস, বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মতো রাজনৈতিক দলগুলিও বিচারের দাবিতে পথে নামছে। কিন্তু তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বিচারের লড়াইকে নিজেদের ফায়দার লড়াইয়ে পরিণত করার অভিযোগ তুলছে বাম ও কংগ্রেস।
প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, "মমতা ব্যানার্জি এখন পুরো বিষয়টাকে গুলিয়ে দিতে চাইছেন। যেভাবে আন্দোলন চলছে তা ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি দেখাতে চাইছেন এটা বিজেপির সাথে তাঁর লড়াই ছাড়া অন্যকিছু নয়। তিনি বলছেন ডাক্তার তোমরা কর্মবিরতি তুলে ডাক্তারি করতে চলে যাও। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন আরজি করে একটি রেস্ট রুম করা হবে যার নামকরণ হবে তিলোত্তমার নামে। বাংলার নারীরা এগুলো চায় না। বাংলার নারীসমাজ সুরক্ষা চায়। নারীকে তাঁর অধিকার থেকে আপনি বঞ্চিত করতে পারেন না। বাংলায় এখন নাটক চলছে। তৃণমূল নেত্রী বাংলার মানুষকে আবার ধোঁকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।"
তিনি আরও বলেন, ছাত্র সমাজের নামে নবান্ন অভিযান হল। তারপর বনধ ডাকলো বিজেপি। বিজেপি দুষছে তৃণমূলকে এবং তৃণমূল দুষছে বিজেপিকে। বিচারের বদলে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে বিষয়টা সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা হচ্ছে।
সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলছেন নবান্ন অভিযানে বিজেপি বডি নিতে এসেছিল। আর শুভেন্দু অভিযোগ করছেন সেই রাজনীতি মমতা ব্যানার্জি করছেন। ছাত্রসমাজের নবান্ন অভিযানে কেন এত পুলিশি তৎপরতা। এমনভাবে সবকিছু সাজানো হল যেন ভয়ঙ্কর কিছু একটা হতে চলেছে। বিচারের বদলে পুরো বিষয়টা অন্যদিকে ঘোরাতে চাইছে তৃণমূল আর বিজেপি। এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন