খাস কলকাতার বুকে ফের প্রকাশ্যে উঠে এল তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। বিজয়া সম্মিলনীর আমন্ত্রণ না পাওয়ায় বালিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। এর আগে ইকো পার্কে অনুষ্ঠিত বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিধায়ক তাপস চ্যাটার্জী।
রবিবার দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাটের ৬৮ নং ওয়ার্ডের অন্তগর্ত ফার্ন রোডে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল ঘাসফুল শিবির। সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সূত্র মোতাবেক জানা গেছে, বাবুলকে দেখা মাত্রই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘটনাস্থল। তাঁকে ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। বাবুলের উদ্দেশ্যে 'গো ব্যাক' স্লোগান তোলেন তাঁরা। দুপক্ষের বচসার ফলে কার্যত ভেস্তে যায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা ৬৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়ের অনুগামী। তাঁদের মূল অভিযোগ, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানের কথা তাঁদেরকে জানানোই হয়নি।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় ইতিমধ্যেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে রয়েছে শাসক দল। জানা গেছে, দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে দুই পক্ষকেই সতর্ক করা হয়েছে। যাতে আগামীতে এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে। ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখছেন দক্ষিণ কলকাতার জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার এক তৃণমূল নেতা জানান, জনসংযোগ বাড়াতে যেখানে রাজ্য জুড়ে বিজয়া সম্মিলনীর মত অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে দল, সেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে। তাই এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা কোনওমতেই বরদাস্ত করা হবে না বলে সতর্ক করা হয়েছে।
পাল্টা বাবুল সুপ্রিয় জানান, এখানে কাউন্সিলরের অনুগামী বলে কেউ নেই। আমরা সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী। তবে, বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান সহ একের পর এক ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ যে আরও প্রকট হচ্ছে তা দিনের আলোর মতই ষ্পষ্ট বলে দাবি বিরোধীদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন