আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে গোটা রাজ্যের মহিলারা এক জোট হয়েছেন। স্বাধীনতার মাঝরাতে রাতের দখল নিতে পথে নামছেন শহর, শহরতলির মহিলারা। অপরদিকে, একই কর্মসূচি রয়েছে বাম-মহিলা যুবদের। তাঁরাও অবস্থান মঞ্চ তৈরি করেছে আরজি কর ক্যাম্পাসে। এই সমস্ত কর্মসূচিকে 'নাটক' বলে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মঙ্গলবার থেকে ধারাবাহিক পোষ্ট করে যাচ্ছেন এই কর্মসূচীর বিরুদ্ধে।
বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে কুণাল ঘোষ বলেন, “সিপিএমের বিপ্লবীরা আগে বর্ণালী দত্ত, ডাঃ অনিতা দেওয়ান, তাপসী মালিক, ধানতলা, নন্দীগ্রামের হিসেব দিক। আর রাতের জমায়েত? রোজ রাত আর ভোরে এই বাংলায় অসংখ্য মা, বোন যাতায়াত করেন। গ্রাম থেকে স্টেশন, রেল ধরে শহর। কতরকম কাজ। দেখুন। বুঝুন। রাত জমায়েতের নাটক দরকার নেই।“
অন্য একটি পোষ্টে কুণাল লেখেন, “যারা বড় বড় কথা বলে লাফাচ্ছে, কোচবিহার, বানতলা, ধানতলা, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের ধর্ষণ, খুনের পর কোথায় ছিল? সিপিএম, বিজেপির যৌথ রাত জাগার নাটক। প্রতিবাদ আমরাও করছি। সবাই করছি। কিন্তু ওরা অতীত ভুলিয়ে মুখোশ পরে রাজনীতি করছে। ওদের অতীত মনে করান।“
কুণাল আরও একটি পোষ্টে লেখেন, “এরপর থানায় বধূ নির্যাতন, বধূহত্যা বা শাশুড়ি নির্যাতনের মামলা এলে পুলিশ সংশ্লিষ্ট শাশুড়ি, ননদ, বউমাকে পুলিশ ধরবে না তো? সবাই তো মহিলা। আজ যারা নাটকের ইভেন্টে যাবেন, সেই বিশেষজ্ঞরা কী বলেন?”
তিনি এই রাত দখলের কর্মসূচিতে মহিলাদের যেতে বারণ করে তিনি লেখেন, "CPM, BJP-র বকলমা ইভেন্টে যাবেন না। কিছুকাল আগে যাদবপুরে ছাত্রের মৃত্যু। কোথায় ছিল বামেরা? CCTV লাগানোর বিরুদ্ধে আন্দোলন। বামেরা কী করেছিল? RGKar কুৎসিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আমরা সবাই সরব। রামবাম অরাজনীতির মোড়কে রাজনীতিতে।"
সিপিআইএম বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করে তৃণমূল নেতা লেখেন, “এর পরের দাবি: দিনে ভোট হলে আমরা হারি, তাই রাতে ভোট চাই। ভোটার, রাত দখল করো। সৌজন্যে: রাম-বাম।“
আর একটি পোষ্টে তিনি লেখেন, "আমিও গোড়া থেকে প্রতিবাদ করেছি। বিতর্কিত অডিও পোস্ট করেছি। জানোয়ার/গুলোর ফাঁসি হোক। বহু ধর্ষণ ও খুন বাম-রাম জমানায়। তাদের তৈরি ইভেন্টে নাম লিখিয়ে বিপ্লবী সাজা উচিত নয়। নিরপেক্ষতা চাইলে পোস্টারে কোচবিহার, বানতলা, ধানতলা, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম, উন্নাও, হাথরাস, বিলকিস রাখুন।"
শুধু তাই নয় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ডাক্তারদের লাগাতার কর্মবিরতির বিরোধিতাও করেছেন কুণাল। তিনি লেখেন, “প্রতিবাদ হোক। কিন্তু, ডাক্তারদের কর্মবিরতি? অসংখ্য রোগীর হয়রানি। একাংশের ডাক্তার, যারা বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত, তারা চান সরকারি হাসপাতাল বন্ধ থাকুক। রোগীরা প্রাইভেট হাসপাতাল, নার্সিংহোমে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বিল, কমিশন। তদন্ত হোক।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন