সৌগত রায়ের বয়স হয়ে গেছে। কখন কোথায় কী বলতে হয় আর কী বলতে নেই, সেই ধারণা নেই ওনার। ওনার মন্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই। কে কে'র অনুষ্ঠানে খরচ হওয়া টাকার উৎস নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলায় সৌগত রায় প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন মদন মিত্র।
শনিবার বরানগরে দলের এক অনুষ্ঠানে দমদমের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "কে কে'র অনুষ্ঠানে ৫০ লাখ না কত যেন লেগেছে শুনলাম। এত টাকা কোথা থেকে এলো? টাকা তো হাওয়া থেকে আসেনা।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, TMCP পরিচালিত গুরুদাস কলেজের ছাত্র সংসদের অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসেছিলেন বলিউড গায়ক কে কে। নজরুল মঞ্চে হওয়া এই অনুষ্ঠানের পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। এই অনুষ্ঠানের খরচ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন সৌগত রায়।
তিনবারের সাংসদ ও বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার এই প্রশ্নে রীতিমত অস্বস্তিতে শাসকদল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। রবিবার তিনি বলেন, সৌগত রায়ের বয়স হয়ে গেছে। বার্ধক্য এসে গেছে। ওনার সমস্যাটা হল যখন যে কথাটা যেখানে বলার প্রয়োজন থাকে উনি তখন সেই কথা সেখানে না বলে পর্দার আড়ালে চলে যান। আবার সেই কথাটাই কদিন পরে যেখানে বলা উচিত নয়। সেখানে মন্তব্য করে পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতে চান। বয়স্ক মানুষের কথার গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
মদন মিত্র এদিন আরও বলেন, যদি সমস্ত হিসাব-নিকাশ ঠিক রেখে মানুষের কাছ থেকে সাহায্যের অর্থ নিয়ে কেউ কোনো অনুষ্ঠান করে তবে তাতে ক্ষতির কিছু নেই। তৃণমূল কংগ্রেস যারা করে তারা আর যাই হোক তোলাবাজি করে না, তোলাবাজির টাকায় এ ধরনের প্রোগ্রাম অরগানাইজ করে না।
সৌগত রায়কে কটাক্ষ করে মদন মিত্র আরও বলেন, সামনে একুশে জুলাইয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এরকম পরিস্থিতিতে একুশে জুলাইয়ের সাফল্য নিয়ে চিন্তাভাবনা ছেড়ে অহেতুক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কলেজের প্রোগ্রামের খরচ খরচা নিয়ে জলঘোলা না করাই ভালো।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন