বিধানসভার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনেই বচসায় জড়ালেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও ইন্দ্রনীল সেন। বাবুলের অভিযোগ, ইন্দ্রনীল নাকি তাঁর দফতরের সমস্ত ফাইল আটকে রেখেছেন। ইন্দ্রনীল অবশ্য মমতা ব্যানার্জির কোর্টে বল ঠেলে দিয়েছেন।
বাবুল সুপ্রিয় হলেন রাজ্যের পর্যটন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী। ইন্দ্রনীল সেন হলেন কারিগরি শিক্ষা এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি বাবুলের দফতরের অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ উন্নয়ন নিগমের চেয়ারপার্সন। সোমবার বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার অনেক পরে একসাথে দেখা যায় দু'জনকে। হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে এসে দুই মন্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
সূত্রের খবর, বাবুল সকলকে শুনিয়েই ইন্দ্রনীলের কাছে কিছু বিষয় জানতে চান। তিনি বলেন, "আমার দফতরের ফাইল আটকে রেখেছো কেন? এইভাবে চলতে থাকলে সরকারি কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। পরিষেবা দেওয়া যাবে না। তুমি এই কাজ করতে পারো না। ফাইলগুলো দ্রুত পাঠানোর ব্যবস্থা করো।"
পাল্টা ইন্দ্রনীল বলেন, "যা বলার দিদিকে গিয়ে বল। তোর দফতরের কাজ আমি কেন আটকে রাখতে যাবো? এইভাবে সকলের সামনে বলিস না। আবার বলছি তোর অসুবিধা হলে দিদিকে গিয়ে জানা।" তারপরেও বাবুল সুপ্রিয় থামেননি। তিনি ফের বলেন, "আমি আগেই বলে রেখেছি। তবে প্রয়োজন হলে আবার বলবো। সমস্ত কিছুই জানাবো।"
একাধিক সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ইন্দ্রনীলের সাথে বাবুলের সম্পর্ক খারাপ নয়। কিন্তু সম্প্রতি আমলা নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে ইন্দ্রনীল সেনকে পর্যটন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারপার্সন করেন মমতা ব্যানার্জি। তারপর থেকেই প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে একটু জটিলতা তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলেরই এক নেতা বলেন, বিষয়টা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। অনেকে ভাবছেন ইন্দ্রনীল বাবুলকে তুই বলে অপমান করেছেন। কিন্তু তেমন না। ওঁরা দু'জনেই সঙ্গীত জগৎ থেকে এসেছেন। আর ইন্দ্রনীল বাবুলের থেকে বড়ো। তাই নিজেদের মধ্যে এইভাবেই কথা বলেন। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে সমস্যা হতেই পারে তবে দ্রুত মিটিয়ে যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন