ফ্ল্যাট প্রতারণাকাণ্ডে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিলেন তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহান। নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৫ মিনিট আগে হাজিরা দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, মোবাইল ফোন ছাড়াই ইডি দপ্তরে ঢুকেছেন নুসরাত।
মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে নুসরাত জাহান হাজিরা দেবেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। যদিও সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে তিনি হাজিরা দিলেন। হাতে একাধিক নথি নিয়ে ইডি দপ্তরে ঢুকতে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। ইডি সূত্রে খবর, ১১টা ৪৫ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। তিন পাতার প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে নুসরাতের জন্য। অভিযুক্ত সেভেন সেন্স সংস্থার সাথে ঠিক কী সম্পর্ক তৃণমূল সাংসদের, আর্থিকভাবে কতটা লাভবান হয়েছেন তিনি, কেন তিনি এই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন - এই সমস্ত প্রশ্নই তাঁকে করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, নুসরাতের বিরুদ্ধে ২৩ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই টাকায় কলকাতায় বিলাসবহুল একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন বলেও অভিযোগ। সেভেন সেন্স সংস্থার নাম করে এই আর্থিক জালিয়াতি করা হয়েছে, যে সংস্থার যৌথ ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। ইডির কাছে এই নিয়ে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা।
অভিযোগ ওঠার পরেই নুসরাত সাংবাদিক সম্মেলন করে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ২০১৭ সালেই সংস্থার দায়িত্ব ছেড়ে দেন। পাশাপাশি তিনি এও বলেছিলেন সংস্থার কাছ থেকে ১.১৬ কোটি টাকার কাছাকাছি ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। সেই ঋণ ২০১৭ সালের মার্চ মাসে সুদ সহ ১.৪০ কোটি টাকা দিয়ে শোধ করে দেন।
এছাড়া একটি অনুষ্ঠানে গিয়েও নুসরাত জানিয়েছিলেন, কোর্টের ব্যাপার কোর্টকে বুঝতে দিন। অযথা মন্তব্য করতে চাই না। বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ইডি তাঁকে (নুসরাত) ডাকবে না। কিন্তু আজ ইডি দপ্তরে হাজিরা দিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন