আর জি কর কাণ্ডে মহিলাদের রাত দখলের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পরে কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে লালবাজার থেকে তলব করা হয় তাঁকে। একবার নয়, দু'বার তলব করা হয়। কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি। এবার গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের এজলাসে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। আগামিকাল মঙ্গলবার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়েও। নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোষ্ট করে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন, দেহ উদ্ধারের পর কেন আত্মহত্যা বলা হয়েছিল? কে বা কারা এই আত্মহত্যার গল্প তৈরি করেছিল, তা নিয়ে পুলিশ কমিশনার এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।
এখানেই শেষ নয়। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা আরও প্রশ্ন তোলেন, আর জি করের সেমিনার হল কেন ভেঙে ফেলা হল? কে এত প্রভাবশালী? এছাড়াও, ঘটনার তিন দিন পর কেন স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছিল? কেন এই বিলম্ব, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
যদিও পুলিশে দাবি, এই তথ্য ভুল। ডগ স্কোয়াড নিয়ে ঘটনাস্থলে যেতে আদৌ দেরি করা হয়নি। আর জি কর কাণ্ড নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ রবিবার তৃণমূল সাংসদকে তলব করেছিল লালবাজার। সেই তলবে সাড়া দেননি তিনি। সূত্রের খবর, এরপর ফের তাঁকে তলব করা হয়। এরপরেই সোমবার গ্রেফতারির আশঙ্কায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সুখেন্দুশেখর রায়।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, অসুস্থতার কারণে লালবাজারের তলব এড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ বলে জানা গেছে। তিনি জানিয়েছেন, ফুসুফুস সংক্রান্ত চিকিৎসা চলছে তাঁর। আপাতত বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন