২১ জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবস। সেই কর্মসূচিকে সামনে রেখে কলকাতা শহরকে আলোয় মুড়ে ফেলবে রাজ্যের পূর্ত দপ্তর!
তৃণমূলের শহীদ দিবস উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলীয় কর্মীরা আসবে ধর্মতলায়। দলীয় কর্মীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই দায়ভার গ্রহণ করছে সরকারি দপ্তরগুলি। আলোক সজ্জার দায়িত দেওয়া হয়েছে পূর্ত দপ্তরকে। কিন্তু কেন দলীয় কর্মসূচিতে জনগণের টাকা খরচ হবে? তার উত্তর যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
আলো ছাড়াও ধর্মতলার সভামঞ্চের আশেপাশের বিভিন্ন গাছের ডাল কাটা হচ্ছে। যাতে সমর্থকদের দূর থেকে দেখতে অসুবিধা না হয়। এই কাজেও কলকাতা কর্পোরেশনের একাধিক কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
সুত্রের খবর, ১৪ জুলাই কলকাতা কর্পোরেশনের তরফ থেকে চিঠি দেওয়া হয় পূর্তদপ্তরকে। চিঠিতে উল্লেখ আছে শহীদ দিবসের জন্য পূর্ত দপ্তরকে কলকাতার বাবুঘাটের একটি মাঠ ও বঙ্গবাসী মাঠের আলোর দায়িত্ব নিতে হবে। দলীয় কর্মসূচিতে যাতে কোনও বিপত্তি না হয় তার দায়িত্ব প্রশাসনের।
পূর্ত দপ্তরের মতোই বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য ট্রাফিকের হেড কোয়াটার। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘শহীদ দিবস’-এর জন্য জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়কের পাশে অবস্থিত হাসপাতালগুলিকে অনুরোধ করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় রক্ত সংগ্রহ করে রাখতে।
উল্লেখ্য, দু’বছর পর তৃণমূলের শহীদ দিবস পালিত হবে। করোনার জন্য ধর্মতলার বদলে ভার্চুয়াল ভাবে পালন করা হয়েছিল। ২০২০ সালের আগেও এই সমাবেশ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সময়ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু ছিল পূর্ত দপ্তরের বিদ্যুৎ বিভাগ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন