নেতাজি ইন্ডোরের দলীয় সভা নিয়ে ফের বেসুরো তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমে তিনি দাবি করেন, নেতাজি ইন্ডোরে অভিষেক ব্যানার্জির ছবি থাকা উচিত ছিল।
ফের কি আদি বনাম নব্য তৃণমূলের লড়াই প্রকাশ্যে? কুণাল ঘোষের কথায় সেই সম্ভাবনাই জোরালো হচ্ছে। নেতাজি ইন্ডোরের সভায় শারীরিক অসুস্থতার জন্য উপস্থিত ছিলেন না তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক ব্যানার্জি। কিন্তু মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মমতা ব্যানার্জি ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। এই নিয়ে একাধিক বিস্ফোরক দাবি করেছেন কুণাল ঘোষ।
কুণাল বলেন, "মমতা ব্যানার্জি দলের সম্পদ, তৃণমূলের মুখ মমতা ব্যানার্জি। তবে অভিষেক ব্যানার্জিকে বাদ দিয়ে তৃণমূলের মঞ্চ কিছুটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। দলীয় সভায় অভিষেক ব্যানার্জির একটা ছবি অন্তত থাকা উচিত ছিল। মমতা দি নেতৃত্ব এবং অভিষেক ব্যানার্জি সেনাপতি। এই ভরকেন্দ্র দুটিকে এক জায়গায় রাখা আমাদের কর্তব্য।"
তিনি আরও বলেন, 'এটা ২০২৩ সাল। অভিষেক ব্যানার্জি নিজের যোগ্যতায় এই জায়গায় এসেছে। ও তো মমতা ব্যানার্জিকেই নেত্রী মানে। ফলে মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির মধ্যে রেষারেষি স্বাস্থ্যকর নয়। ব্যাপারটা মমতা দি বনাম অভিষেক নয়। ব্যাপারটা হচ্ছে মমতা দি এবং অভিষেক'।
পাশাপাশি দলের মধ্যে মুখপাত্র হিসেবে নিজের কাজ নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, "মুখপাত্রদের কাজও ক্রমশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কাঁহাতক আপনি দলকে ডিফেন্ড করবেন! একটা ভুল, দুটো ভুল, তিনটে ভুল থেকে যে কেউ কোনও শিক্ষা নিচ্ছে, সেও তো কিছু দেখতে পাচ্ছি না।"
তাহলে কি লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব বাড়ছে? মমতা ব্যানার্জির কাছে কি সত্যিই নতুন নেতারা অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্ব পাচ্ছেন? এই সমস্ত প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে।
প্রসঙ্গত, নেতাজি ইন্ডোর থেকে দলের বৈঠকেও বারবার মমতা ব্যানার্জিকে নতুন এবং পুরনো নেতাদের সতর্ক করেন। তিনি বলেন, "নতুনদের বলছি পুরনো নেতাদের সম্মান করতে হবে। পুরনোদেরও উচিত নতুনদের সাথে কাজ করা। গাইড করা। মিলেমিশে কাজ করতে হবে। সতর্ক করে দিয়ে গেলাম"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন