সাম্প্রদায়িক বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে পার্ক সার্কাস থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত সম্প্রীতির মিছিল করে বামফ্রন্ট। সিপিআইএম নেতা রবীন দেব, কল্লোল মজুমদার সহ একাধিক নেতৃত্ব এই সম্প্রীতির মিছিলে পা মেলান।
শনিবার কলকাতার পার্ক সার্কাস থেকে মল্লিক বাজার, মৌলালি, পদ্মপুকুর হয়ে ধর্মতলা লেনিন মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত মিছিল করে কলকাতা জেলা বামফ্রন্ট কর্মী সমর্থকরা। মিছিলের উদ্দেশ্য হলো, ধর্মীয় উৎসবে রাজনীতি অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা বন্ধ করা, বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে রক্ষা করা।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী সকলের মানুষের একই বক্তব্য। তাঁরা বলেন, জীবন জীবিকার বিষয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এবং রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার কোন কিছুই কাজ করছে না। রুটি রুজি নিয়ে মানুষ যখনই প্রশ্ন তুলতে শুরু করছে তখনই ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। ভুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে মূল সমস্যাগুলোকে।
বাম নেতৃত্বের দাবি, ধর্মীয় হানাহানির বিরুদ্ধে বামেরা বরাবরই ঐক্যের বার্তা দিয়েছে। বর্তমান সময়ে ঐক্য এবং সম্প্রীতির প্রয়োজনীয়তা গুরুতর আকারে দেখা দিয়েছে। ঠিক এই কারণেই সম্প্রীতির বার্তা দিতে বামফ্রন্ট কর্মী সমর্থকরা রাস্তায় নেমেছে।
সিপিআইএম নেতা রবীন দেব বলেন, "গত ৩০ মার্চ থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি চলছে। অথচ সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্য ছিল। সেই ঐতিহ্য এবং মানুষের ঐক্যবদ্ধতাকে বিনষ্ট করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কিছু মানুষ। তাদের বিরুদ্ধেই সকল মানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্যই বামফ্রন্ট পথ নেমেছে।"
মিছিলে অংশগ্রহণকারী একজন বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আমাদের মিছিল। আমরা চাই হিংসা ভুলে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকুক। তৃণমূল বিজেপির সাথে গোপনে হাত মিলিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
একই সঙ্গে প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলে একাধিক প্রশ্ন উত্থাপন করেন বামফ্রন্ট কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের প্রশ্ন, কেন ধর্মীয় উৎসবকে রাজনৈতিক কাজে ব্যবহার করা হবে? রামনবমীকে কেন্দ্র করে হাওড়া হুগলি সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় ঝামেলার আগাম খবর পেয়েও প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিতে পারল না? রাজ্য প্রশাসনকে এর দায় নিতেই হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন