অযোধ্যা পাহাড়ের উপর নির্মাণকার্য চালানোর প্রতিবাদে পথে নামলেন আদিবাসীরা। মূলত ধর্মীয় উপাসনার অধিকার চেয়ে এই আন্দোলন। যার জেরে শুক্রবার কার্যত অবরুদ্ধ হাওড়া ব্রীজ। বিভিন্ন রঙের পতাকা নিয়ে ব্রীজের দু'ধার দিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল অসংখ্য আদিবাসীদের।
কিন্তু কেন এই আন্দোলন? সূত্র মোতাবেক জানা গেছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহলের নেতৃত্বে এই আন্দোলন শুরু হয়েছে। তাঁদের মূল অভিযোগ, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে অবস্থিত তাঁদের দেবতা মারানবুড়ুর উপাসনা স্থল। সেটি ধ্বংস করে নির্মাণকার্য চালানো হচ্ছে। সেখানে টুরগা পাম্প স্টোরেজ নামে একটি নতুন প্রোজেক্ট হচ্ছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আদিবাসীদের ধর্মীয় স্থান।
প্রাথমিকভাবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথ বেছে নিলেন আদিবাসীরা।
নির্মাণকার্যের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে ডেপুটেশন জমা দিতে হাওড়া স্টেশনে এসে উপস্থিত হন আদিবাসী সংগঠনের কর্মীরা। সেখান থেকে মিছিল করে রানি রাসমণী রোডে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর। তাঁদের একটাই দাবি, নিজেদের ধর্মীয় স্থলে তাঁদের উপাসনা করতে দিতে হবে।
এদিন আদিবাসীদের মিছিলের জেরে এমজি রোড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, ধর্মতলা চত্বর-সহ প্রায় গোটা মধ্য কলকাতায় যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছু দিন আগেও কুড়মি নামের আরেকটি তফশিলি উপজাতি জনগোষ্ঠীর প্রতিবাদের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পরপর বাতিল হয়েছে ট্রেন। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সারনা ধর্ম চালু করার পাশাপাশি কুড়মালি ভাষাকে পাঠ্যসূচীর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন