শাসক-বিরোধীদলের বিধায়কদের মধ্যে হাতাহাতি জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভা। সোমবার একই দিনে অবশ্য বিধানসভায় দুটি ঘটনা ঘটল। হাতাহাতির জেরে নাক ফেটে গিয়েছে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। তাঁর ওপর হামলা চালানোর জন্য তিনি অভিযোগ করেছেন সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তৃণমূল বিধায়কের অভিযোগ, শুভেন্দু তাঁর নাকে ঘুসি মেরেছেন।
এই ঘটনার জেরে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে পড়ে যে, বিধানসভার অধ্যক্ষকে বাধ্য হয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে হয়। বিরোধী দলনেতা-সহ পাঁচজন বিজেপি বিধায়ককে বাজেট অধিবেশন পর্যন্ত সাসপেন্ড করে দিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়। সেই তালিকায় একদিকে যেমন আছেন শুভেন্দু অধিকারী। তেমনই আছেন বিরোধী দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা, বিধায়ক দীপক বর্মন, শঙ্কর ঘোষ, নরহরি মাহাতো।
তাঁদের সাসপেন্ড করা হোক, এমন আর্জি জানান উদয়ন গুহ-সহ তৃণমূল বিধায়কেরা। তাঁদের আর্জি মেনেই বিরোধী শিবিরের বিধায়কদের সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ পরবর্তী বাজেট অধিবেশন এই সাসপেনশন বহাল থাকবে। অর্থাৎ চলতি বছরে বিধানসভায় কোনও অধিবেশনেই আর অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা।
টুইটারে ঘটনার ভিডিও পোস্ট করেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার। তিনি লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন। রামপুরহাট গণহত্যা নিয়ে আলোচনার দাবি করায় বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের আক্রমণ করলেন তৃণমূল বিধায়করা। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শাসনকালে রাজ্যে প্রতিদিনই রাজনৈতিক হিংস্রতা, খুন, ধর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে।'
পুরো ঘটনার জন্য বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেছেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরিকল্পিতভাবে বিজেপি অশান্তি করেছে বলে অভিযোগ তাঁর। ফিরহাদ হাকিম বলেছেন - "বিধানসভায় বিজেপি বিধায়করা যে ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। এমন ঘটনা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ইতিহাসে নজিরবিহীন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন