ইডি হাজিরা এড়ালেন সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল শাহজাহানকে। যদিও সময় পেরিয়ে গেলেও শাহজাহানের দেখা মেলেনি।
২৪ দিন হয়ে গেল এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। গত বুধবার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে হাজিরার নোটিশ সেঁটে দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জল্পনা বাড়ছিল ওই তৃণমূল নেতার হাজিরা নিয়ে। কিন্তু আজও দেখা মিললো না শাহজাহানের।
ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহান না এলেও তদন্ত চলতে থাকবে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই একাধিক নথি উদ্ধার করা হয়েছে। সেই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই সন্দেশখালির তৃণমূল নেতাকে ডেকে পাঠানো হয়।
গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডি আধিকারিকরা। সেদিন বারবার ডাকা সত্ত্বেও সাড়া দেয়নি তৃণমূল নেতা। এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর তালা ভাঙার উদ্যোগ নেন কেন্দ্রীয় জওয়ানরা। তখনই বিপত্তি বাধে। আচমকা সেখানে উপস্থিত হন শাহজানের অনুগামীরা। ইডি আধিকারিক ও জওয়ানদের উপর চড়াও হয় তারা। আগে থেকে না জানিয়ে কেন তল্লাশিতে আসা, এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ শুরু হয়। ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা শুরু হয়, মাথা ফাটে দুই আধিকারিকের। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে অটোয় করে এলাকা ছাড়েন তাঁরা।
ওই ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন শেখ শাহজাহান। সম্ভবত গ্রেফতারির আশঙ্কাতেই তিনি প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না। স্থানীয় বাম নেতৃত্বের দাবি, শাহজাহান আশেপাশের এলাকাতেই লুকিয়ে আছেন। রাজ্য পুলিশ চাইলেই গ্রেফতার করতে পারে, কিন্তু করছে না।
কিছুদিন আগেই ফিরহাদ হাকিম বলেন, "শাহজাহান যা করেছে অন্যায় করেছে। আমি গণমাধ্যমে দেখেছি, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারি আধিকারিকদের। যেটা করেছে, নিশ্চিত করে বলছি, অন্যায় করেছে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন