নারদ মামলা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২০ এপ্রিল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার।
একসময় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল নারদ স্টিং অপারেশন নিয়ে। যাতে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ও সাংসদকে টাকা নিতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে অপরূপা পোদ্দারও ছিলেন। তাঁর নামেও এফআইআর দায়ের করেছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এফআইআর থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা।
২০১৬ সালে হয়েছিল নারদকাণ্ড। কিন্তু তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তার মধ্যেই তৃণমূল সাংসদের এমন পদক্ষেপের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ২০১৪ সালে তৃণমূলের সাংসদের টিকিটে তিনি লড়ে জয়লাভ করেছিলেন। ৩ লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন তিনি। তার পরেই নারদ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত হন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৭ এপ্রিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইটারে বেশ কয়েকজন তৃণমূল বিধায়ক ও সাংসদের বিরুদ্ধে নিয়োগ দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগ করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান, আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নীতিশ কুমার মালিক, বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় এবং বলাগড়ের বিধায়ক অসীম কুমার মাঝির নাম।
এরপরেই অপরূপা পোদ্দার দাবি করেন - গত ২৯ মার্চ দিব্যেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পরিবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন। কলকাতা বিমানবন্দরে দিব্যেন্দু অধিকারী ( শুভেন্দু অধিকারীর ভাই) তাঁকে বিজেপিতে চলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। দিব্যেন্দু বলেন, তিনি বিজেপিতে এলে অনেক গুরুত্ব পাবেন। নয়তো কিছু তৃণমূল এমপি, এমএলএ-র মতো তিনিও ফাঁসবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন