আরজি কর হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ হারানোর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সমাজমাধ্যমে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের গলায় অভিমানের সুর শোনা গেল। ফেসবুকে তৃণমূল নেতা লিখেছেন, “জীবনে যদি বারবার চোখ নয়, শুধু কান দিয়ে দেখে, একতরফাভাবে শুধু একজনের কথা শুনে কেউ সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ভুল সিদ্ধান্ত হতে বাধ্য।”
সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে আরজি কর হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পেশায় চিকিৎসক শান্তনু সেনকে সরিয়ে দেওয়ার কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ওই পদের নয়া পদাধিকারী হিসেবে চিকিৎসক তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের অন্দরমহলে শান্তনুর সঙ্গে শ্রীরামপুরের বিধায়কের সংঘাতের খবর প্রায়শই শোনা যায়। আগেও একবার শান্তনুকে সরিয়ে সুদীপ্তকে ওই পদে বসানো হয়েছিল। সেবার যদিও হারানো পদ আবার ফেরত পান শান্তনু। তাই সরাসরি উল্লেখ না করলেও নেটমাধ্যমে তাঁর এই সুদীর্ঘ অভিমানী পোস্ট আরজি কর হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া নিয়েই বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
বুধবার সকালে ফেসবুকে শান্তনু সেন লিখেছেন, “হে ঈশ্বর, আমি যেন সব সময় আমার সহযোদ্ধাদের, যারা নিঃস্বার্থভাবে, প্রাণপাত করে, সব সময় আমার সঙ্গে থাকে, তাদের সঠিক মূল্যায়ন করতে পারি এবং আমি যেন কারও কথায় তাদের প্রতি কোনও অবিচার করে না ফেলি।”
তৃণমূল সাংসদ আরও লিখেছেন, “আমি যেন সব সময় মনে রাখি যে, সঙ্গে চলার লোক অনেক থাকে, কিন্তু একান্ত বিশ্বস্ত, অনুগত, অসময়ের সাথী ও আমার জন্য বলিপ্রদত্ত সহযোগী বাস্তবিক অর্থে খুব কমই আছে। আমার অতীব প্রিয় কোনও মানুষের প্ররোচনাতেও আমি যেন আমার এরকম সহযোদ্ধাকে কখনও অপমান করে না ফেলি। আমি যেন মনে রাখি যে আমার সেই প্রিয় মানুষ আমার ব্যক্তিগত জীবনে থাকতে পারে, কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে আমার সেই সহযোদ্ধাই থাকবে। যিনি প্ররোচনা দিচ্ছেন, তার কোনও ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য আছে কি না সেটাও যেন ভেবে দেখার ক্ষমতা আমার থাকে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন