এবার জুনিয়র চিকিৎসকদের নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের দাবি, তাঁদের আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁদের আন্দোলন সম্পূর্ণ ‘অরাজনৈতিক’ বলে সকলকে ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন চিকিৎসকদের আন্দোলনে কেউ কেউ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে আছেন। পরে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ এই আন্দোলন নিয়ে বামপন্থী এবং অতি বামপন্থী সংগঠনের দিকে নিশানা করেছিলেন। এর আগে জুনিয়র চিকিৎসকদের লালবাজার অভিযানে বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গাঙ্গুলি গেলে তাঁকে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দেন আন্দোলনকারীরা। পরে স্বাস্থ্যভবনের সামনে চিকিৎসকদের অবস্থানে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালকে ঘিরেও ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। এরপরই এই আন্দোলনকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা এই স্লোগান দেননি। কয়েকজন যাঁরা মদ-গাঁজা খান তাঁরা এই কাজ করেছেন। এখানে যাদবপুরের বহিরাগতদের হাত আছে।
যদিও শুভেন্দু অধিকারীর সেই দাবি খারিজ করেন খোদ জুনিয়র চিকিৎসকরাই। সাংবাদিক সম্মেলন করে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, “প্রথম থেকেই আমাদের আন্দোলনকে যাঁরা রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছেন, তাঁদের বিরোধিতা করেছি আমরা। এই উদ্দেশ্যে আন্দোলনে যোগ দিতে আসা অভিজিৎ গাঙ্গুলি বা অগ্নিমিত্রা পালের মতো নেতা-নেত্রীদের আন্দোলন মঞ্চ থেকে গো-ব্যাক স্লোগানও দিয়েছি”।
তাঁরা আরও জানান, “এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আমাদের আন্দোলনকেই কালিমালিপ্ত করতে নেমেছে। এই ঘটনাগুলি নাকি দুশ্চরিত্র বহিরাগতদের ষড়যন্ত্রের ফলে ঘটেছে বলে দাবি করছেন তিনি। আমরা সুস্পষ্টভাবে তাঁকে এবং অন্য যে কেউ একই উদ্দেশ্যে আমাদের আন্দোলনকে ব্যবহার করতে চাইলে তাঁদের জানিয়ে দিতে চাই আমাদের আন্দোলনকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাইলে আমরা আগেও যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম সেই একই প্রতিক্রিয়া আবার জানাব”।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন