আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি তৃণমূলের ৯৯.৯৯ শতাংশ কর্মী এখনও পর্যন্ত স্বচ্ছ এবং সৎ। বিজেপির সাথে সমঝোতা করার জন্য সিপিআই(এম)-র বিড়ালটা হঠাৎ বেরিয়ে পড়েছে - এই বলে বিরোধীদের ফের বেলাগাম আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার, নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশন ছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত স্তর থেকে রাজ্যস্তরের নেতা-মন্ত্রীরা। অধিবেশন থেকে একাধিক বিষয়ে সিপিআই(এম) এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মমতা।
গোরু পাচার মামলায় গত কয়েকদিন ধরে জেল হেফাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন অনুব্রতর পাশে দাঁড়িয়ে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, "কেষ্টকে বন্দি করে পার্লামেন্টে দুটো সিট দখল করা যাবে না। যতদিন না কেষ্ট ফিরে আসছে, লড়াই আরও তিনগুণ বাড়বে। কেষ্টকে বীরের সম্মান দিয়ে ফিরিয়ে আনবেন।"
অধিবেশনস্থল থেকে সাংবাদিকদের সমালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আজকাল যে সমস্ত মিডিয়া হয়েছে, তাঁরা শুধু তৃণমূলের গন্ধ শুঁকতে ব্যস্ত। এর সাথে ওকে লাগাচ্ছে, ওর সাথে আমাকে লাগাচ্ছে। এরা বোঝেই না, এই ভাগাভাগিগুলো হওয়ার নয় রে। মিথ্যে খবর একদিন সত্য হতে পারে, চিরকাল নয়। তোরা যতই চেষ্টা কর আর যতই লাইনবাজি কর, এতে টিআরপি বাড়বে না। লোকে টিআরপি দেখতে দেখতে টিভিটা আর দেখবে না। যাত্রা-নাটক-সিনেমায় চলে যাবে।"
বিরোধীদের বিরুদ্ধে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে মমতা বলেন, "সিপিআই(এম)-র হার্মাদ, বিজেপির জল্লাদ, আর কী কী বলব? জগাই-মাধাই-গদাই। যারা আজ বিজেপি করে তারাই তো একসময় সিপিআই(এম) করত। ভাবছেন তৃণমূলের কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করলে কর্মীরা ভয় পাবেন, ও-গুড়ে বালি।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন