অবাঞ্ছিত কিছু বিষয়ের উপস্থিতি দলের ওপর আক্রমণের কারণ হচ্ছে এবং দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। রবিবার একথা জানিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক, মদন মিত্র, যাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন "বর্ণময় ব্যক্তি" হিসাবে বর্ণনা করে থাকেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মদন মিত্র বলেন, দলের মধ্যে কিছু প্রতারক এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের উপস্থিতি তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। একই সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে সক্রিয় রাজনৈতিক জীবন থেকে দূরে সরে যাওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন দীর্ঘ দিনের রাজনীতিবিদ মদন মিত্র।
এদিন তিনি জানান, “কিছু মধ্যস্বত্বভোগী এবং প্রতারক, যারা দলের ভেতরে ঢুকে গেছে, তাদের খারাপ কাজের জন্য দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমার দিন তো শেষ হয়ে আসছে। আমি মনে করি না ২০২৬ সালে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অবস্থায় থাকব। সম্ভবত ২০২৪ সালে সৌগত রায় আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দলের নেতৃত্বের কাছে আমার একমাত্র অনুরোধ এই ধরনের অবাঞ্ছিত বিষয় থেকে দলকে রক্ষা করুন। দল বাঁচলেই আমরা বাঁচব।”
নেতারা নয়, তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরাই দলের প্রকৃত সম্পদ বলেও তিনি দাবি করেন।
“সংকটের মুহূর্তে নেতা-মন্ত্রীরা সরে যান। তাই কোনো নেতা-সাংসদ এগিয়ে এলেন কি না সে প্রশ্ন ওঠে না। দলের প্রকৃত সম্পদ তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরাই। যারা দলে থেকে বিরোধীদের সঙ্গে গোপন বোঝাপড়ার মাধ্যমে দলকে ভেতর থেকে ধ্বংস করছেন আমি তাদের ঘৃণা করি।”
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে মদন মিত্রের উল্লেখযোগ্য মন্তব্য তাঁকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “যদি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সততা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তা গৌতম বুদ্ধের সততা এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্ন করার সমান।”
তাঁর এই মন্তব্যের পরে কিছু দলীয় সহকর্মীও তাঁকে সূক্ষ্মভাবে উপহাস করেন এবং বলেন তিনি আবেগের বশে এই ধরণের মন্তব্য করেছেন। যদিও এই মন্তব্যের পরেও দলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও সমালোচনা করা হয়নি।
মাঝে মাঝেই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে আসা মদন মিত্র সম্প্রতি জানান, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলে তিনি প্রাইভেট টিউশন করে উপার্জন করবেন এবং বই লিখতে শুরু করবেন। তিনি আরও বলেন, তিনি যদি বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ের ওপর বই লেখেন তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বেস্ট সেলার হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন