SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির নিয়োগ সঠিক পদ্ধতিতে হয়ছিল? তদন্তে নামছে সিবিআই

শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা কল্যাণময় গাঙ্গুলীকে একাধিক প্রশ্ন করলেওl বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।
SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির নিয়োগ সঠিক পদ্ধতিতে হয়ছিল? তদন্তে নামছে সিবিআই
ফাইল ছবি
Published on

স্কুল সার্ভিস কমিশন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির পর এবার খোদ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলল সিবিআই। পর্ষদ সভাপতির নিয়োগ সঠিক পদ্ধতিতে হয়েছে কিনা তা নিয়ে এবার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।

এক সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলীর নিয়োগ প্রক্রিয়া স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে হয়েছে কিনা তা জানতে চেয়েছে সিবিআই। যদি হয়ে থাকে তাহলে দপ্তরের সরকারি বিজ্ঞপ্তি এবং সভাপতি নিয়োগের মেয়াদকাল সংক্রান্ত সমস্ত রকম তথ্য সিবিআই-এর হাতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর পাশাপাশি জানা গেছে, শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত ১৬টি প্রশ্ন পর্ষদের কাছে পাঠানো হয়েছে সিবিআই-এর তরফে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে ১৬টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর এবং নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় ফাইল, সিডি, পেনড্রাইভসহ সমস্ত নথিপত্র সিবিআই-এর কাছে জমা দিতে হবে।

শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের দুর্নীতির তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে আসার পর গত ১৬ জুন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দপ্তরে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিলেন। পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গাঙ্গুলীর ফ্ল্যাটেও গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেইদিন নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই আধিকারিকরা তাঁকে একাধিক প্রশ্ন করলেও বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নই তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন বলে জানা গেছে। যে কারণে সিবিআই-এর তরফে শনিবার পুনরায় গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি প্রশ্ন কল্যাণময় গাঙ্গুলীর কাছে পাঠানো হয়েছে বলে।

ঠিক কী কী প্রশ্ন করে সিবিআই? জানা যাচ্ছে,

১) মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মোট কতজনকে গ্রুপ সি শিক্ষাকর্মী পদে নিয়োগপত্র দিয়েছে?

২) বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ করার অধিকার পর্ষদ সভাপতির আছে কি না?

৩) যদি থাকে, সেক্ষেত্রে সভাপতি যে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অন্যতম, তার সরকারি গেজেট নোটিফিকেশনের কপি কোথায়?

৪) এমন কোনো মিটিং হয়েছে কিনা যেখানে পর্ষদ সভাপতির সই আপলোড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?

এছাড়াও, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি শিক্ষাকর্মী নিয়োগের সময় কমিশন থেকে আসা প্রার্থীদের নামের সুপারিশের অরিজিনাল নথি ও অরিজিনাল নিয়োগপত্রের তালিকা পর্ষদের কাছে তলব করেছে সিবিআই। সুপারিশের সফট কপি এবং পেনড্রাইভও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২০ সালে SSC-র তরফে ই-মেলের মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের গ্রুপ সি শিক্ষাকর্মী পদে নিয়োগ করার জন্য যে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, সেটাও চাওয়া হয়েছে। এর সাথে যে ৬৫৮ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল, যার সুপারিশ পেয়েছিল কমিশন, সেই ই-মেল যদি পর্ষদ পেয়ে থাকে তবে সেটা সিবিআই-এর কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে। এই ৬৫৮ জন গ্রুপ সি শিক্ষাকর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে আদালত।

আরও জানা গেছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে-এর মধ্যে নিয়োগের মেধাতালিকা যদি কমিশন থেকে এসে থাকে তার সরকারি নথিও জমা দিতে বলা হয়েছে। ২০১৬ সালের গ্রুপ সি পদে নিয়োগপত্র দেওয়ার রেজিস্টার্ড সরকারি মেমো নম্বর পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও ওই বছরের স্কুল সার্ভিস কমিশন ও রিজিওনাল স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে সর্বশেষ পাঠানো সুপারিশের তালিকাও পাঠাতে বলেছে সিবিআই।

SSC Scam: মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতির নিয়োগ সঠিক পদ্ধতিতে হয়ছিল? তদন্তে নামছে সিবিআই
সাদা খাতায় নাম লিখে জমা দিলেই চাকরি! - TET দুর্নীতিতে এবার CBI-র নজরে পর্ষদ কর্মচারী

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in