নাম না করে দলের সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মন্তব্য করার দিলীপ ঘোষের জনসংযোগের পদ্ধতিকে কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে অন্যদের মতো প্রেস রিলিজ দেননা তিনি।
ডিসেম্বর মাসে 'ধামাকা' হবে বলে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তিনটি তারিখও দিয়েছিলেন তিনি - ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর। সোমবার অর্থাৎ গতকাল ছিল ১২ ডিসেম্বর। সে অর্থে গতকাল কোনও 'ধামাকা' হয়নি। শুভেন্দু অধিকারীর ভবিষ্য়দ্বাণীর কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। গতকাল একদিকে ভবানীপুরে সভা করেছেন শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং অন্যদিকে দিল্লি গিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
শুভেন্দুর সভার আগে দিল্লিতে সাংবাদিকরা দিলীপ ঘোষের কাছে ধামাকা প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছিলেন। এর উত্তরে দিলীপ বলেন, "১২ তারিখ কী হবে জানিনা। আমার তো কিছু মনে হচ্ছে না। ১২, ১৪ ও ২১ ডিসেম্বর সম্ভবত তিনটি মামলার দিন ছিল বলে জানি। কিন্তু আজ মামলা হচ্ছে না। পিছিয়ে গিয়েছে। কী কারণ জানি না। রাজনীতিতে এই তারিখের কী গুরুত্ব আছে জানি না।"
বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে পাশে বসিয়ে প্রাক্তন সভাপতির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু। হাজরা মোড়ের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "আমি মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে প্রেস রিলিজ দিই না। যা বলি ভেবে বলি, করে দেখাই।"
দিলীপ ঘোষের নাম না নিলেও, শুভেন্দুর নিশানায় যে তিনিই রয়েছেন, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি রাজনৈতিক মহলের। কারণ প্রতিদিন মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নানা বিষয়ে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ।
দিলীপ ঘোষের সাথে যে শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্ক ভালো নয়, তা রাজনৈতিক ভাবে সচেতন প্রত্যেকেই জানেন। একাধিকবার সেই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যেও এসেছে, যা নিয়ে অস্বতিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। ফের একবার সেই তিক্ততার আঁচ পাওয়া গেল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন