পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ালো কলকাতা হাইকোর্ট। পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারবে না নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যে রাজনৈতিক দলগুলি পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলায় কর্মসূচি করছে। কিন্তু এখনও অনিশ্চিত পঞ্চায়েত নির্বাচন। বুধবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিজ্ঞপ্তির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী বা মার্চ মাসে। কিন্তু তা হয়নি। তা না হলেও মার্চ বা এপ্রিল মাসের মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে সে সম্ভাবনাও ক্ষীণ মনে হচ্ছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে বিরোধীদের অভিযোগ, নির্বাচনের সময় রাজ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করবে তৃণমূল। বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেবে না, ভোটারদের ভয় দেখাবে, সাধারণ মানুষের মনে হিংসা ছড়াবে। বেশ কয়েকটি জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে বিজেপি এবং সিপিআইএম।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ২০১৩ এবং ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের সময় সারা রাজ্যে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছিল তৃণমূল। তাই সুষ্ঠু পঞ্চায়েত ভোটের স্বার্থে পুলিশের বদলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করার দাবি তোলেন তিনি। এই দাবিতে হাইকোর্টে মামলাও করেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন