২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সিপিআইএমকে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। যার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তৃণমূলের শহীদ দিবস নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।
ধর্মতলার শহীদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রীর মুখে শোনা যায় সিপিআইএমকে কটাক্ষ করতে। মমতা বলেন, সিপিআইএম আমলে ১০-১৫ লক্ষ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সেলিম বলেন, ‘সিপিআইএমের চাকরি নিয়ে অনেক কমিশন গঠন করেছিলেন মমতা ব্যানার্জী। কিন্তু কিছুই প্রমাণ করতে পারলেন না। বরং বামফ্রন্টের আমলে শিক্ষিত, ভদ্র ও সৎ লোকের চাকরি হয়েছিল বলে আজকে সরকারের কিছু কিছু কাজ হচ্ছে। কোনও বোর্ডে আজকে তৃণমূল দ্বারা নিয়োজিত একটাও দায়িত্বশীল লোক নেই। বাম আমলে যারা চাকরি পেয়েছিলেন তাদের মাধ্যমেই এখন বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষাগুলি হচ্ছে’।
তিনি আরও বলেন, যাঁদের তৃণমূল নিয়োগ করেছে তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ নারী নির্যাতনে যুক্ত। এখন সরকারী অফিসগুলিতে গেলে দেখা যাবে স্থায়ীর থেকে অস্থায়ী কর্মী বেশি।
মমতার মুখে সিপিআইএমের কথা শুনে সেলিম কটাক্ষ করে বলেন, এর আগে ২১ জুলাই বলেছিলেন দূর দূর পর্যন্ত সিপিআইএমকে দেখা যায় না। এখন দিব্যি গণশক্তি দেখতে পাচ্ছেন, বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে দেখতে পাচ্ছেন। তাহলে আগে না দেখার ভান করেছেন নয়তো উনি ভয় পেয়েছেন সিপিআইএমকে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তৃণমূলের শহীদ দিবসকে মোচ্ছব বলে কটাক্ষ করেছেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক। সেলিম প্রশ্ন তোলেন, কয়লা পাচার কাণ্ডে সমস্ত তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও সিবিআই-র চার্জশীটে কেন নাম নেই অভিষেক ব্যানার্জীর? তাহলে কি অভিষেককে ২১ জুলাইয়ের উপহার দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা! তাই কর্মসূচির নাম শহীদ দিবস হলেও আসলে ধর্মতলায় মোচ্ছব হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন