প্রশাসনের অননুমতিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মঙ্গলবারের দুপুরে কলকাতার রাজপথে উপচে পড়ল তারুণ্যের জোয়ার। 'জনজোয়ারের চাপে' বাধ্য হয়ে বদল করতে হল ইনসাফ সভার স্থল। অবশেষে একটি গাড়িকেই মঞ্চ বানিয়ে ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই শুরু হল SFI-DYFI-র সভা। প্রশাসনের থেকে সভাস্থল যেন কার্যত আদায় করে নিকেন বাম ছাত্র-যুবরা।
ছাত্র নেতা আনিস খান, মইদুল মিদ্যা, সুদীপ্ত গুপ্ত, স্বপন কোলে, সইফুদ্দিন মোল্লার মৃত্যুর বিচারের দাবিতে বর্ধমান থেকে বেহালা, কোচবিহার থেকে করুণাময়ী - সব জায়গা থেকে ইনসাফ চাইতে ধর্মতলার সমাবেশে জড়ো হয়েছেন বাম ছাত্র-যুবরা।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাতারে কাতারে বাম ছাত্র-যুবদের ঢল এসে নেমেছে চৌরঙ্গীতে। মিছিলে পা মিলিয়েছেন বহু প্রাক্তন ছাত্র-যুব সহ মহিলা এবং সাধারণ মানুষ। শিয়ালদহ, হাওড়া, পার্কস্ট্রিট এই তিন জায়গা থেকে মিছিল এসে জড়ো হয়েছে চৌরঙ্গীতে।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে সভাস্থল থেকে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, "বাংলা লুঠেরাদের জায়গা নয়। বাংলার বুকে আরএসএস-কে জায়গা করে দিতে মমতা ব্যানার্জি তাঁদের প্রশংসা করছেন। আমরা কাজ চাই হাতে। মোদীর পকোড়াও চাই না, মমতার চপও চাই না।"
তিনি আরও বলেন, "মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন সব করে দেবেন। আজকে আমরা দেখছি লুঠেরাদের রাজত্ব চলছে। আমি কলকাতা পুলিশ আর রাজ্য পুলিশকে বলছি, এরপর আর কখনও সভা, সমাবেশ আটকাবার সাহস দেখাবেন না।"
সভাস্থল থেকে ডিওয়াইএফ রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জী বলেন, "আমরা হঠাৎ করেই একদিন স্বপ্ন দেখে ধর্মতলায় সভা করতে আসিনি। ধারাবাহিকভাবে লড়াইয়ের ময়দানে আছে ডিওয়াইএফআই, এসএফআই। রাজ্য কমিটি থেকে ইউনিট কমিটি পর্যন্ত আমাদের লড়াকু কর্মীরা আছেন। যেসব চাকরিপ্রার্থীরা ধরনা মঞ্চে রয়েছেন, তাঁরা সকলে আমাদের সমর্থন করেছেন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন