WB Left: আগামীকাল নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক বামফ্রন্টের

বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোট লুট, সন্ত্রাস, ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায‍্য করছে কমিশন। প্রতিবাদে ২৯ ডিসেম্বর কমিশনের দফতরের সামনে টানা অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে।
আগামীকাল নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক বামফ্রন্টের
আগামীকাল নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক বামফ্রন্টেরপ্রতীকী ছবি সংগৃহীত
Published on

রাজ্য নির্বাচন কমিশন শাসকদলের স্বার্থরক্ষার জন্য কৌশলে পুরনির্বাচন করাতে চাইছে। এমনটাই অভিযোগ বামফ্রন্টের। এর প্রতিবাদে আগামীকাল দুপুর দু'টো থেকে কমিশনের দফতরের সামনে থেকে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বামেরা

সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে কমিশনের ভূমিকায় প্রতিবাদ জানিয়ে ওয়াকআউট করেছে বাম-সহ সব বিরোধী দল। এরপর বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ভোট লুট, সন্ত্রাস, ছাপ্পা ভোটের মাধ্যমে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায‍্য করছে কমিশন। কমিশনের ভূমিকার প্রতিবাদে ২৯ ডিসেম্বর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরের সামনে টানা অবস্থান বিক্ষোভ করা হবে।

সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে বামফ্রন্ট নেতা রবীন দেব বলেন, রাজ্য সরকার ও আদালতে সরকারি আইনজীবীর দাখিল করা বক্তব্যের মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য নেই। শাসক দলের কথা মতো রাজ্য নির্বাচন কমিশন সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল। সেখানে কেবল শিলিগুড়ি, চন্দননগর, আসানসোল ও বিধাননগর এই চারটি পুরনিগমের নির্বাচনের কথা বলা হয়। হাওড়ার নির্বাচন নিয়ে কিছু বলা হয়নি। অথচ গত ২২ নভেম্বর সর্বদলীয় বৈঠকে বলা হয়েছিল যে, কলকাতা বাদে পাঁচটি পুরনিগমেই নির্বাচন হবে।

হাইকোর্টে সরকারের তরফ যে চিঠি জামা দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ২২ জানুয়ারি পাঁচটি কর্পোরেশন ও ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৯টি পুরসভায় নির্বাচন হবে। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন সোমবারের বৈঠকে হাওড়ার বিষয়ে কিছু জানায়নি। সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত ১০ দলের মধ্যে ন'টি দলই কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে।

রবীন দেবের অভিযোগ, ২০১৩ সালে শেষ বার হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন হয়েছে। ২০১৮ সালে তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। গত তিন বছর ধরে সেখানে কোনও নির্বাচিত বোর্ড নেই। এভাবে পুরসভা পরিচালনা করে পরিষেবা দেওয়া যায় না। সাধারণ মানুষকে পরিষেবা থেকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। তাছাড়া কেন হাওড়া পুরনিগমের নির্বাচন হবে না, তারও কোন জবাব কমিশন দিতে পারেনি।

তাঁর আরও অভিযোগ, নেতাজির জন্মদিনের আগে নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। ওইদিন সাধারণত নানা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলে। আবার স্ক্রুটিনি হবে ২৫ জানুয়ারি। ওই দিন জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে জেলায় জেলায় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। এটা ইচ্ছাকৃত।

আগামীকাল নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের ডাক বামফ্রন্টের
Left-Congress: কলকাতা পুরভোটে ভেস্তে গেছে বাম-কং জোট, বাকি পুরনির্বাচন নিয়ে কী বলছে দুই দল?

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in