ভোটের সন্ত্রাসে নিহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে অধীর চৌধুরী, নিজেই করলেন সওয়াল

গত ৮ জুন বাংলায় এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ভোটের হিংসায় রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩৯ জন।
অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও রাজীব সিনহা
অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও রাজীব সিনহাগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

রাজ্যে নির্বাচনী সন্ত্রাসে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এই দাবি জানিয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। গত ৮ জুন বাংলায় এক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসায় রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৩৯ জন। যার মধ্যে শুধুমাত্র ৮ জুলাই নির্বাচনের দিনেই প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের।

এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টি.এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য-এর ডিভিশন বেঞ্চে পাঁচবারের লোকসভা সাংসদ অধীর চৌধুরী রাজ্যে ভোটের হিংসার শিকার হয়ে মৃত প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবারকে অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। পাশাপাশি ওই আবেদনপত্রে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, রাজ্যে এই নৃশংস মৃত্যুমিছিলের জন্য যারা দায়ী তাঁদের দ্রুত চিহ্নিত করে তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হোক। দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন। তবে এই মামলার পুরোদস্তুর শুনানি কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে আদালতের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

সবচেয়ে বেশি হিংসা ছড়িয়েছে অধীর চৌধুরীর নিজের ‘গড়’ মুর্শিদাবাদ জেলায়। কিন্তু মুর্শিদাবাদ-সহ কোনও জেলা প্রশাসনই হিংসায় আহত ব্যক্তিদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে নূন্যতম দায়িত্ববোধ ও মানবিকতা দেখায়নি বলে দাবি করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। আদালতে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে ভোটের হিংসায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার নিজের জন্য কোনও আইনজীবী না নিয়ে আদালতে দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সামনে অধীর নিজেই সওয়াল করেন।

এদিন তিনি জানান, “শনিবারের নির্বাচনী হিংসায় প্রধানত নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষগুলোই আক্রান্ত হয়েছেন। অধিকাংশ আহতদের তো হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া যায়নি। তাঁদের পরিবার এটাও জানে না যে এর বিচারের জন্য কার কাছে যেতে হবে! ওই পরিবারগুলোর হয়ে আমি আজ এখানে এসেছি। আদালতের কাছে আমার আবেদন, তাঁদের প্রত্যেককে সাহায্য ও সহযোগিতা করা হোক।”

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই দাবি করেছেন যে, রাজ্য সরকারের উচিত নিহতদের পরিবারকে ৫০ লক্ষ এবং আহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

-With IANS Inputs

অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও রাজীব সিনহা
TMC: বিপুল বিস্ফোরক রাখার অভিযোগ, NIA-র হাতে গ্রেফতার বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in