পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন ঘিরে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক ISF কর্মীর। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। যার জেরে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করলেন আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। এদিনই ভাঙড় সহ রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার আবেদন জানিয়ে তিনি দ্বারস্থ হন নির্বাচন কমিশনের। এদিনের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক তৃণমূল কর্মীরও। আহত বেশ কয়েকজন।
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। একাধিক জায়গায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। চলে বোমা গুলির লড়াই। দুই দলের পক্ষ থেকেই পুলিশের ভূমিকার নিন্দা জানানো হয়েছে।
এদিন সকাল থেকেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা। স্থানীয় কাঁঠালিয়া মোড়ে তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে। অভিযোগ, মুড়িমুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। গুলি চালানোরও অভিযোগ ওঠে। যার জেরে মৃত্যু হয় মহম্মদ মহিদ্দিন মোল্লা নামে এক দলীয় কর্মীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে আইএসএফ নেতৃত্ব।
এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে রশিদ মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীরও। জানা গেছে তিনি জীবনতলার বাসিন্দা। তৃণমূলের দাবি তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে।
সংঘর্ষের পর বিজয়গঞ্জ বাজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে এলাকায় পাঠানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। শুরু হয়েছে পুলিশি টহলদারি। একসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ভাঙড়ের দুই বিডিও অফিস চত্বরেই সকাল থেকে জড়ো হন তৃণমূল এবং আইএসএফ-এর কর্মীরা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে আইএসএফ কর্মীদের মনোনয়ন জমা থেকে আটকে রাখার অভিযোগ ওঠে। এর পরেই ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দফায় দফায় সংঘর্ষ বেধে যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন