পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে এখনও কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। শুক্রবার একথা জানিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় অশান্তি ছড়িয়েছে, ঝরেছে রক্ত। একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়েছে। আহত হয়েছে পুলিশ, সরকারি কর্মী। মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করে অবিলম্বে গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যদিও কমিশনের রিপোর্টে এই অশান্তি-মৃত্যুর কোনও তথ্য নেই।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন হলেও, শুক্রবারও একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা নেওয়া হয়েছে। এরপর শুক্রবার রাতে কমিশনের তরফ থেকে মনোনয়ন পর্ব সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কমিশন তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ এরকম কোনও খবর তাদের দেয়নি।
তবে অশান্তির খবর রয়েছে কমিশনের রিপোর্টে। এখনও পর্যন্ত মোট ৩৯টি অশান্তির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে কমিশন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার পর থেকে মনোনয়ন পর্ব পর্যন্ত ৬১টি বোমা উদ্ধার হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। পরের দিন অর্থাৎ ৯ জুন থেকেই শুরু হয় নমিনেশন। সেদিনই মুর্শিদাবাদে এক কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এরপর একাধিক জায়গায় অশান্তি হয়েছে। মনোনয়নের শেষ চারদিন কার্যত দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছিল ভাঙড়। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত হয়েছেন একাধিক। দোকান, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকশ বোমা পড়েছে বলে অভিযোগ। যদিও এসবের কোনও তথ্যই নেই কমিশনের রিপোর্টে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন