হাইকোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা। তৃণমূল প্রার্থীর বিদেশ থেকে মনোনয়ন জমা পড়া নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বলেন, কেউ বিদেশে থেকে মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন আর কেউ রাজ্যে থেকেও মার খাচ্ছেন!
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিরোধী দলগুলি। শুধু বিরোধী দল নয়, কলকাতা হাইকোর্টও নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বৃহস্পতিবার আদালতে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। মামলাটি ছিল তৃণমূলের প্রার্থীর বিদেশে থেকে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে।
বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘পরিস্থিতিটা এক বার ভেবে দেখুন। এক দল মনোনয়ন দিতে গিয়ে বাধা পাচ্ছে, মার খাচ্ছে। আর অন্য দল বিদেশে বসেই মনোনয়ন জমা দিয়ে দিচ্ছে।'
তিনি আরও নির্দেশ দেন, নির্বাচন কমিশনকে পুরো বিষয়টাই খতিয়ে দেখতে হবে। মনোনয়ন জমা করার সময় প্রার্থীর সই প্রয়োজন হয় কিনা তাও আদালতে জানাতে হবে। যেহেতু প্রার্থীর বিদেশে যাত্রার প্রসঙ্গ উঠেছে তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীন অভিবাসন ব্যুরোকে মামলায় যুক্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
মামলাকারীর অভিযোগ, মহিরুদ্দিন গাজী নামের তৃণমূলের এক প্রার্থী সৌদি আরব থেকেই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব? এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কোনো নিয়ম মানা হয়নি। তার মনোনয়ন বৈধ হতে পারে না।
সূত্র মারফত জানা গেছে গত ৪ জুন হজ যাত্রা করতে বিদেশে পাড়ি দেন ওই প্রার্থী। সরকারি নথিতেই বসিরহাটের মহিরুদ্দিন গাজীর নাম রয়েছে।
মামলাকারীর আইনজীবী এও দাবি করেছেন, তৃণমূলের ওই প্রার্থীর মনোনয়ন বেআইনি হলেও রিটার্নিং অফিসার সমস্ত কিছু বৈধ বলে জানিয়েছেন। রিটার্নিং অফিসারের মতে, নির্বাচনী নিয়ম মেনেই তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন