বকেয়া মহার্ঘভাতা (DA)-সহ একাধিক দাবিতে এবার বৃহত্তর আন্দোলনে নামছে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি (State Co-ordination Committee)। আগামী ২৩ নভেম্বর, রাজ্যের প্রায় ৩০ টি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে 'বিধানসভা অভিযান'-র ডাক দিয়েছে কমিটি।
বর্তমানে, DA-র দাবিতে আদালতে আইনি লড়াই চালাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। DA মিটিয়ে দেওয়ার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ সত্বেও সেই দাবী এখনও পূরণ হয়নি। আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য। তারই মধ্যে এবার পথে নেমে আন্দোলনের ডাক দিল রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি।
সোমবার, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয় শংকর সিংহ জানিয়েছেন, 'আগামী ২৩ নভেম্বর, রাজ্য কোষাগার থেকে বেতন প্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী প্রায় ৩০টি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের ডাকে 'বিধানসভা অভিযান' হবে। এদিন, বহু সংগ্রামের সাক্ষী কলকাতার রাজপথে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবে।'
এক প্রেস বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, 'রাজ্য কোষাগার থেকে বেতনপ্রাপ্ত শ্রমিক, কর্মচারী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের কেন্দ্রীয় হারে প্রাপ্য মহার্ঘভাতা বিপুল পরিমাণ বকেয়া (৩৫ শতাংশ) থাকা সত্বেও এই বিষয়ে বার বার বিভিন্নভাবে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।'
সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, 'এই বিষয়ে পঞ্চম বেতন কমিশনের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ এবং কলকাতা উচ্চ আদালতের সুস্পষ্ট রায়কে সরকার মান্যতা দিতে রাজি নয়। শুধু মহার্ঘভাতাই নয়, শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ ও চুক্তি কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ সম্পর্কেও রাজ্য সরকারের অবস্থান 'নেতিবাচক'।'
একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, 'এমতাবস্থায় হকের দাবি আদায়ে তীব্র আন্দোলনে শামিল হওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ নেই। রাজ্য সরকারের বোঝা উচিত, যাঁদের ওপর নির্ভর করে প্রশাসনের সমস্ত ধরনের কাজ, তাদের ন্যায্য দাবিকে দিনের পর দিন উপেক্ষা করলে, একদিন না একদিন ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটবেই। চোখ রাঙানি, হুমকি, টিপ্পনির বেড়া দিয়ে এই ক্ষোভের ভিস্যুভিয়াসকে আটকানো যায় না।'
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে DA নিয়ে একটি রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে আদলত নির্দেশ দিয়েছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সকল বকেয়া DA মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু, আদালতের সেই নির্দেশ মানার পরিবর্তে, রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন