কোনও বিষয় নিয়ে ক্ষোভ থাকলে তা দলে জানানোর নির্দেশকেই তিনি মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কোথায় জানাবেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবার বিতর্কে জড়ালেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। শনিবার দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে নিয়ে মুখ খোলার পর রবিবার সুর আরও চড়ালেন তিনি। কটাক্ষ করলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
মদন মিত্র বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার কারণে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কার্যালয়ে যাওয়া যায় না। অভিষেক খুবই ব্যস্ত। তাই আমাদের মতো সাধারণ কর্মীরা তাঁর নাগাল পাই না।' তাহলে কিছু বলার থাকলে জানাবেন কাকে? প্রশ্ন তুললেন কামারহাটির বিধায়ক। যদিও এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন যে, দলের বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য নেই তাঁর। এরপরই দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘উনি যদি আমায় বলেন, ওঁর বাড়ির নীচে থাকা কনস্টেবলকে জানিয়ে আসতে, আমি সেখানেই জানিয়ে আসব।’
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ার লাইভে মদন বলেছিলেন, ‘শুনছিলাম, প্রত্যেককে নিজেদের ক্ষোভ দলের মধ্যে বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, দলে কোথায়, কাকে বলতে হবে। তাঁকে কোন ঠিকানায় পাওয়া যাবে। কর্মীরা জানিয়েছেন, তৃণমূল ভবনে একমাত্র সুব্রত বক্সী ছাড়া কাউকে পাওয়া যায় না।’
এই মন্তব্যের পর রবিবার ফের একই ইস্যুতে সুর চড়ালেন মদন। মদনের এই মন্তব্যের পর দলের মহাসচিব তথা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির প্রধানও কি এবার কড়া হবেন? সেটাই প্রশ্ন। তাঁর বিরুদ্ধে দল কোনও ব্যবস্থা নেয় কিনা, সেটাও ভাবছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, বর্তমান করোনা আবহে আগামী দু’মাস রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সমাবেশে রাশ টানার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেটা তাঁর ‘ব্যক্তিগত’ অভিমত বলে জানিয়েছিলেন। সেই ইস্যুতে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ও শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাক্যুদ্ধ বহুদূর গড়ায়।
কল্যাণের বিরুদ্ধে আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও সুর চড়ান। গোলমাল মেটাতে দলের মহাসচিব ময়দানে নামেন। শনিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে এই পর্ব শেষ করার নির্দেশ দেন পার্থ। কারও কোনও বক্তব্য থাকলে তা দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটিকে জানানোর নির্দেশ দেন। নতুবা ব্যবস্থা নেবে দল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন