বিজেপিতে এখন খরা চলছে। আষাঢ়, শ্রাবণ কোনও কিছুই নেই। তাই সবাই বিজেপি ছেড়ে যাচ্ছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপির প্রার্থী হওয়া শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় দল ছাড়ার পর এভাবেই কটাক্ষ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলে দলে বিজেপিতে যোগদান করা তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা ফের তৃণমূলে ফিরে আসছেন। প্রথমবার বিজেপির হয়ে রাজনীতির ময়দানে পা রাখা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও গতকাল ট্যুইটারে ঘোষণা করে বিজেপি ছেড়েছেন।
এর পাশাপাশি তৃণমূলকে ‘লুটেরার দল’ বলেও কটাক্ষ করে অধীর রাজনৈতিক নেতাদের ভোলবদল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর বিরুদ্ধেই আক্রমণ শানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। রাজ্যের নেতাদের ক্রমাগত দলবদল নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক ডিগবাজি বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনেছেন। এখন বিজেপির কিছু দেওয়ার নেই। তাই অনেকেই তৃণমূলে যাবেন।' তিনি আরও বলেন, এখন রাজনীতিতে আদর্শ, মানসিকতা বলে কিছু নেই। বিজেপি, তৃণমূলের কাছে এখন রাজনৈতিক শিকারই আদর্শ।
তৃণমূলকে লুটেরা তকমা দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, তৃণমূল মানেই লুটে খাওয়ার জায়গা।‘ শ্রাবন্তীরও দল ছাড়া ও তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর নাম না করে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘এখন বিজেপির দেওয়ার কিছু নেই। তাই যে মহিলা গিয়েছেন, তিনি কিছু পাওয়ার আশায় গিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের সঙ্গে শ্রাবন্তীর সুসম্পর্ক অনেকদিনের। সম্প্রতি তাঁর বাড়িতেও গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। শ্রাবন্তী টুইট করে বিজেপির-সঙ্গত্যাগের ঘোষণা করতেই তৃণমূলে স্বাগত জানিইয়েছেন মদন মিত্র। ফলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে খুব শীঘ্রই তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন শ্রাবন্তী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন